পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষাবিষয়ক । R r পীত শ্ৰীশ্বর ( কাপড় ) যাহার = পীতাম্বর ( কৃষ্ণ ) শূল পাণিতে (হাতে ) যাহার = শূলপাণি (শিব) 列页 af死丐 যাহার = পদ্মনাভ (বিষ্ণু) এখানে ‘পী শুবৰ্ণ কাপড” “শৃল ও পাণি’, ‘পদ্ম ও নাভিকে” না। বুঝাইয়া কৃষ্ণ, শিব ও বিষ্ণুকে বুঝাইতেছে। যে যে পদে সমাস করা যায়, সেই সেই পদের অর্থ না বুঝাইয়া, যা তাতে অন্য কোন একটা বিশেষ অর্থ বুঝায়, তাহাকে “বহুব্রীতি” সমাস কহে । এই রূপে উপপদ শিক্ষা দিতে হইলে । যথা :- পঙ্কে জন্মে যে = পঙ্কজ ( পদ্ম , শৈবালাদি নয় ) জলে চরে যে = জলচর ( জলচর জীব ; নৌকা প্রভূতি নয় ) ঘর পোড়ায় যে = ঘরপোড়া ( হনুমান ; কেহ ঘর পোড়াইলে তাঙ্কাকে ঘরপোড়া বলে ; পোড়া ঘর নয়। ) যে সমাস বহুব্রীহির মত, কিন্তু একটা ধাতুর সহিত যুক্ত হয়, তাহাকে উপপদ সমাস কহে । উপপদ শব্দের অর্থ বুঝাইয়া দিবে। বালকের কৰ্ম্মধারয়, বহুব্রীহি ও উপপদ সুমাসে প্রায়ই গোলমাল করিয়া থাকে। এই তিনটীর পার্থক্য দৃষ্ঠান্তের দ্বারা বুঝাইতে চেষ্টা করিবে । কারকের বোপ কষ্টলে তৎপুরুষ সমাস বুঝিতে কষ্ট হইবে না । দ্বন্দ সমাস সহজ । অব্যয়ীভাব প্ৰভৃতির। আপাততঃ আবশ্যকতা নাই । তার পর স্ত্রী-প্ৰত্যয়, তদ্ধিত ও কৃৎ কিছু কিছু শিক্ষা দিলেই উচ্চ প্ৰাইমারী শ্রেণীর ব্যাকরণ শিক্ষা শেষ হইল । অৰাজকাল ইংরেজী অনুকারণে পদ পরিচয় বা পদব্যাখ্যা অর্থাৎ পাঞ্জিং বাঙ্গালা ব্যাকরণে প্ৰবেশ করিয়াছে । ইচ্ছা করিলে শিক্ষকেরা ইহাও শিক্ষা দিতে পারেন । কঁহাতে ব্যাকরণ শিক্ষার উত্তমরূপ পরীক্ষা হইয়া খাকে । শাস্তুবিধান, ষত্ববিধান ও " চিহ্নপ্রকরণ শ্রুতলিপির সঙ্গে শিক্ষণীয়। মধ্য বাঙ্গালী শ্রেণীদ্বয়ে এই সমস্ত বিষয়ই অধিক মাত্রায় শিক্ষা করিবে । মধ্য বাঙ্গালার উপযুক্ত কোন