পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশাসনবিষয়ক । d থাকি এ চুরি’ সেরূপ চুরি নহে। অন্যের কোন জিনিষ নিজের পছন্দ হইল, সে সেটি সরাইয়া ফেলিল। এইরূপ সরল ভাবেই অনেক চুরি হইয়া থাকে । ইহাতে যে একটা ভীষণ স্বার্থের ভাব আছে কি অপরের অনিষ্ট সাধনের ইচ্ছা আছে তাহা তত নহে । বাল্যকালে সামান্য সামান্য চুরি বোধ হয় আমাদিগের মধ্যে ৯৯ জনে করিয়া থাকিবেন। কিন্তু তাহাতে কি তাহারা জীবনে অধঃপাতে গিয়াছেন ? আম চুরি, কুল চুরি, পেয়ারা চুরি, ফুল চুরি-অর্থাৎ না বলিয়া লইলেই যদি চুরি করা হয় তবে ৯৯ কেন ১০০ জন। এই অপরাধে অপরাধী । অবশ্য আমি এই কথা বলিতেছি না যে এই সমস্ত উপেক্ষা করিতে হইবে । আমার বলিবার উদ্দেশ্য এই যে এইরূপ ‘না বলিয়া পরের দ্রব্য নেওয়াকে ভীষণ ‘চুরি” নামে অভিহিত করিয়া ও সেই বালককে “চোর’ নামে অভিহিত করিয়া তাহাকে যে পরিমাণ নিৰ্য্যাতন করা হইয়া থাকে, তাহা সকল সময়ে সঙ্গত হয় না ! অপরাধকে ঘুণ করা কীৰ্ত্তব্য কিন্তু অপরাধীকে ঘৃণা করিলে তাহার অপরাধের সংশোধন হয় না । “তুমি চোর, তুমি কাহারও সািহত মিশিও না, তোমার সহিত কেহ কথা কহিবে না, তোমাকে জেলে দিব।” ইত্যাদি তিরস্কারে বালক মানসিক কষ্ট পায়, আর শিক্ষকের প্রতি বিরক্ত হয় । সস্নেহে তাহার দোষ বুঝাইয়া দিতে হইবে, আর যাহাতে সে সেরূপ না করে সে বিষয়েও সাবধান করিয়া দিতে হইবে । বালক যে কাৰ্য্যই করুক না কেন মিথ্যা কথাই হউক, চুরিই কিউক বা অন্য কোন অপরাধই হউক, তাহার মনের উদ্দেশ্য বুঝিয়া বিচার করিতে হইবে । তবে যেখানে এরূপ দেখা মায় যে, বালক-নিষেধসত্ত্বেও আবার চুরি করিতেছে, অপরের দ্রব্য বিক্রয়ু করিয়া চুরুট কিনিয়া থাইতেছে বা অন্য কোন অপকৰ্ম্ম করিতেছে, সেখানে বেতের ব্যবস্থা করিতে হইবে । তাহাতে না সরিলে বিদ্যালয় হইতে তাড়াইয়া দিতে হইবে। তবে কথা এই যে বালক-বালক, এই