পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুশাসনবিষয়ক । ዓ «k নিয়মাবলী প্ৰণয়ন করিতে হয় তবে তাহার ভাষা সরল, ভাব বিশদ ও ংখ্যা স্বল্প হওয়া উচিত । নিয়মগুলি উত্তমরূপ প্ৰতিপালিত হয়, কি না। সে বিষয় অনুসন্ধান করিবে । কেহ নিয়মের সামান্য ব্যতিক্ৰম করিলে তখনই তাহার প্ৰেতিবিধান করিবে । অনেক শিক্ষকের অভ্যাস আছে প্ৰত্যহই নুতম নিয়ম প্রচার করা বা নুতন আদেশ প্রচার করিয়া বিজ্ঞাপন দেওয়া ! আদেশের সংখ্যা অধিক হইয়া গেলে বালকদিগেরও সমস্ত পালন করিতে মনে থাকেনা, আর শিক্ষকও তাহার সমস্ত নিয়ম প্ৰতিপালি ত হয় কি না দেখিতে অবসর পাননা । এরূপ আদেশে সুফল না হইয়া বরং কুফলই হয় । বালকেরা মনে করে যে প্ৰত্যহ নুতন আদেশ শ্রবণাক্ট করিতে হয়, কিন্তু তাহা পালন না করিলেও চঞ্জল । কারণ পালন না করার দরুণ যে শাস্তি, তাহাত তাহাদিগের ভোগ করিতে হয় না । পুরস্কার।-শিক্ষকের মুখ নিঃস্থত সামান্য দুই একটা উৎসাহ সুচক বাক্য বালকের সে পরিমাণ উপকার করিতে পারে, শত ভৎসনায় তাহা করিতে পারে না । নিরুৎসাতের কথা কুখনই বলু। উচিত নয় । “তুমি মুৰ্থ, তোমার কিছুই হবেনা তোমার মাথা নাই, তুমি ঘাস কাট গিরা, কেন মিছে চেষ্টা কর” ইত্যাদি বাক্যে অনেক বালকের সর্বনাশ হইয়া গিয়াছে । বালককে সৰ্ব্বদাই উৎসাহিত করিতে হইবে । অঙ্ক কষিতে পারিতেছেন-শিখাইয়া দাও ; তার পর এমন সহজ অঙ্ক দাও যে সে বেশ কষিতে পারে । সমস্ত শুদ্ধ না হইলেও যে সামান্য অংশ শুদ্ধ হইয়াছে, তাহাই উপলক্ষ করিয়া বল “এ পর্যন্ত বেশ হইয়াছে, এই থানে অল্প ভুল হইয়াছে ; তা আর একবার চেষ্টা করিলে সব ঠিক হইয়া যাইবে।” ছবি আঁকিতে দিয়াছ, হয়তঃ কিছুই হইতেছেন, কিন্তু নিরুৎসাহ করিও না, “ই এই লুকাম করিয়াই করিতে হয়, তোমার বুদ্ধি আছে, আর ২৩ বার চেষ্টা করিলেই চমৎকার হইবে।” এইরূপে উৎসাহিত করিবে , তবে ‘এইটা এইরকম করিতে হয়, এইটা এই