পাতা:বিবিধ সমালোচন (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়).pdf/১১২

কৃষ্ণ চরিত্র । আমরা অন্য প্রবন্ধে মানস বিকাশের সমালোচনায় বলিয়া রাখিয়াছি, যে যেমন অন্তান্ত ভৌতিক, আধ্যাত্মিক বা সামাজিক ব্যাপার নৈসর্গিক নিয়মের ফল, কাব্যও তদ্রুপ । দেশভেদে, ও কালভেদে কাব্যের প্রকৃতিগত প্রভেদ জন্মে। ভারতীয় সমাজের ষে অবস্থার উক্তি রামায়ণ, মহাভারত সে অবস্থার নহে; মহাভারত যে অবস্থার উক্তি, কালিদাসাদির কাব্য সে অবস্থার নহে । তথায় দেখান গিয়াছে যে বঙ্গীয় গীতিকাব্য, বঙ্গীয় সমাজের কোমল প্রকৃতি, নিশ্চেষ্টতা, এবং গৃহ সুখনিরতির ফল। অদ্য সেই কথা স্পষ্টীকরণে প্রবৃত্ত छ्ट्रे व ।. - বিদ্যাপতি, এবং তদৰ্শ্ববর্তী বৈষ্ণব কবিদিগের গীতের বিষয় একম ক্লষ্ণ ও রাধিক । বিষয়ান্তর নাই । তজ্জষ্ঠ এই সকল । কবিতা অনেক আধুনিক বাঙ্গালির অরুচিকর। তাহার কারণ এই মে, নায়িকা, কুমারী বা নয়কের শাস্ত্রানুসারে পরিগীত পত্নী নহে, অন্তের পত্নী ; অতএব সীমান্ত নায়কের সঙ্গে কুলটার প্রণয় হইলে যেমন, অপবিত্র, অরুচিকর, এবং পাপে পঙ্কিল হয়, কৃষ্ণলীলাও তাহাদের বিবেচনায় তদ্রুপ-অতি কদয়া পাপের আধার + বিশেষ এসকল কৰিতা অনেক সময় মন্ত্রীল, এন ইঞ্জিয়েব পুষ্টিকর—অতএব ইহা সৰ্ব্বথা পরিহার্য্য । র্যাহারা এইরূপ বিবেচনা করেন, তাহার নিতান্ত অসারগ্রাহী । যদি কৃষ্ণলীলার এই ব্যাখ্যা হইত, তবে ভারতবর্ষে কৃষ্ণভক্তি এবং কৃষ্ণগীতি কখন এতকাল স্থায়ী হইত না । কেন ন৷ *বিত্র কৃার্য কখন স্থায়ী হয় না । এ বিষয়ের যাথার্থ্য নিরূপণ জন্য আমরা এই নিগুঢ় তত্বের সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইব। פא atי