পাতা:বিবিধ সমালোচন (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ সমালোচন । ৫৩ আছে। তথাপি ঐ সকলকে অতি অপকৃষ্ট গ্রন্থ মধ্যে গণনা করিতে হয় । কেন না সেই সকল সৃষ্টি স্বভাবানুকারিণী এবং সৌন্দৰ্য্যবিশিষ্ট নহে । অতএব কবির সৃষ্টি স্বভাবানুকারী এবং সেীমাৰ্য্যবিশিষ্ট না হইলে, কোন প্রশংসা নাই । সৌন্দৰ্য্য এবং স্বভাবমুকারিতা, এই দুয়ের একটি গুণ থাকিলেই, কবির স্বষ্টির কিছু প্রশংসা হইল বটে, কিন্তু উভয়গুণ না থাকিলে কবিকে প্রধান পদে অভিষিক্ত করা যায় না । আরব্য উপন্যাস বলিয়া যে বিখ্যাত আরব্য গ্রন্থের প্রচার হইয়াছে, তল্লেখকের স্বষ্টির মনোহারিত্ব আছে, সন্দেহ নাই। কিন্তু তাহাতে স্বভাৰানুকারিত না থাকায় “ আলেফ লয়লা” পৃথিবীর অত্যুৎকৃষ্ট কাব্যগ্রন্থ মধ্যে গণ্য নহে। কেবল স্বভাবানুকারিণী স্বষ্টিরও বিশেষ প্রশংসা নাই। যেমন জগতে দেখিয়া থাকি, কবির রচনা মধ্যে তাহারই অবিকল প্রতিকৃতি দেখিলে কবির চিত্রনৈপুণ্যে প্রশংসা করিতে হয়, কিন্তু তাহাতে চিত্রনৈপুণ্যেরই প্রশংসা, স্থষ্টিচাতুর্যের প্রশংসা কি ? আর তাহাতে কি উপকার হইল ? যাহা বাহিরে দেখিতেছি, তাহাই গ্রন্থে দেখিলাম ; তাহাতে আমার লাভ হইল কি ? যথার্থ প্রতিকৃতি দেখিয়া আমোদ আছে বটে—কেবল স্বভাবসঙ্গতি গুণবিশিষ্ট স্বষ্টিতে সেই আমোদ মাত্র জন্মিয়া থাকে । কিন্তু আমোদ ভিন্ন অন্ত লাভ যে কাব্যে নাই, সে কাব্য সামান্ত বলিয়া গণিতে হয় । - অনেকে এই কথা বিস্ময়কর বলিয়া রোধ করিবেন। কি এ দেশে, কি স্থসভ্য ইউরোপীয় জাতি মধ্যে, অনেক পাঠকেরই এইরূপ সংস্কার যে, ক্ষণিক চিত্তরঞ্জন ভিন্ন কাব্যের অন্য উদেপ্ত নাই। বস্তুতঃ অধিকাংশ কাব্যে (বিশেষতঃ গদ্য কাব্যে বা আধুনিক নবেলে) এই চিত্তরঞ্জন প্রবৃত্তিই লুক্ষিত হয়-“অহাতে S N9