পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প নেই। লোকে বলচে আমার নাকি সব্বনাশ হয়ে গেল। কি সব্বনাশ হলো কিছ বািকতে পারাচি নে। মাছ খেতে পাবো না, না-ই বা পেলাম ; একাদশী করতে হবে, করবো। ভালো খাওয়া বা পরার দিকে আমার কখনো কোন ঝোঁক নেই। তবে মানষটার ওপর মায়া জন্মেছিল বটে, তাকে আর দেখতে পাবো না, এইটকু যা কম্পট । বিধবা হওয়ার পরে আমি অনেকবার শবশরিবাডী গেলাম । শাশড়ীর সেবা করি, মািখরা জায়ের সংসারে পত্ৰহীনা বাদ্ধার বড় কািট, যত দিব পাবি সেটকু ঘোচাবার চেষ্টা করি । একাদশীর দিন শাশড়ী-বোঁয়ে নিরক্ষাব্য উপোস করি, সন্ধ্যের সময় তাঁর পায়ে তেল মালিশ করি । BBkkyBBDDB DBB DEDDDS DBB DBDDDDBD BDS DBDD DBDB DBB তাঁর সোনার চাঁদ ছেলে, দাঁধের বাছা মারা গেল । ভাসরপোর ওপর এমন স্নেহ ভাসরপোর জীবদ্দশার কোনোদিন দেখোঁচ বলে মনে করতে পারলাম না । আশচয্য ! একবার বাপের বাড়ী এসে শািনলাম নসমোমা বাড়ী ছেড়ে নিরদেশ হয়ে গিয়েচে । ছ'মাস পরে খবর এল হালিসহরের এক কালীমন্দিরে সে আছে, গঙ্গার তীরে দ’খানা ভাঙা মন্দির, সেখানে সে পজো-আচ্চা নিয়েই নাকি उाछ । খবরটা দিলে ও-পাড়ার বধো গয়লার মা, ঘোষপাড়ার দোল দেখে দেশে ফেরবার পথে সে হালিসহরে গিয়েছিল, সেখানেই দেখা হয়েচে । আমি মনে মনে ভাবলাম ওর পক্ষে ভালোই হয়েচে । কি জানি কেন আমার মনে হয়। নসমোমা যা করে তাই ভালো । এইভাবে দিনের পর দিন কাটে । বন্ধা শাশাড়ীকে কত যত্নে আগলে নিয়ে বেড়াই, বাপের বাড়ী গিয়ে বেশিদিন থাকতে পারিনে, পাছে বাড়ীর কন্ট হয়। একদিন শাশাড়ী বলেন-চল মা, সান্যাল মশায়ের বাড়ী ভাগবত শনে আসি -সে কে মা ? —পাড়ার বড়ো সান্যালদা, দ্যাখোনি বড়োকে ? সান্যাল মশায়ের বাড়ী গেলাম । ওঁর অবস্থা বেশ ভালো বলে মনে হলো বাড়ীঘর দেখে, শািনলাম দই ছেলে কলকাতায় চাকরি করে, তাদের সন্তী-পত্ৰ তাদেরই সঙ্গে কলকাতার বাসায় থাকে। সান্যাল মশায় বিপত্নীক । বয়স ছিয়াত্তর বছর, নিজেই বলেন। একটি বিধবা বোন বাড়ীতে থাকে ও রান্নাবান্না করে । আমাদের দেখে খাব যত্ন করলেন, আমাদের সামনে ভাগবত ব্যাখ্যা করে

  • !

সেই থেকে সান্যাল মশায়ের বাড়ীতে রোজ যাই । আমায় তিনি বড় ভালোবাসেন, যোগবাশিষ্ঠ ও ভাগবত তাঁর প্রিয় বই । যদি দ’দিন না। যাই, সান্যাল মশায় আমার শবশরিবাড়ী আসবেন । আমার শাশড়ী তাঁর বোমা। ডেকে