পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विध्यः বাড়ী বসিয়া লিখিতেছিলাম। সকাল বেলাটায় কে আসিয়া ডাকিল।--জ্যাঠামশায় ? একমনে লিখিতেছিলাম, একটি বিরক্ত হইয়া বলিলাম-কে ? বালিকাকন্ঠে কে বলিল-এই আমি, হাজ । -হাজাৰ ? কে হাজ ? বাহিরে আসিলাম । একটা ষোল-সতেরো বছরের, মলিন বস্ত্র পরনে মেয়ে একটি ছোট ছেলে কোলে দাঁড়াইয়া আছে। চিনিলাম না। গ্রামে অনেকদিন পরে নতুন আসিয়াছি, কত লোককে চিনি না। বলিলাম-কে তুমি ? মেয়েটি লাজক সরে বলিল-আমার বাবার নাম রামচরণ বোস্টম । এইবার চিনিলাম। রামচরণের সঙ্গে ছেলেবেলায় কড়ি খেলিতাম। সে আজ বছর পাঁচ-ছয় হইল ইহলোকের মায়া কাটাইয়া সাধনোচিত ধামে প্রস্থান করিয়াছে সে সংবাদও রাখি। কিন্তু তাহার সাংসারিক কোনো খবর রাখিতাম না । তাহার যে এত বড় মেয়ে আছে, তাহা এখনই জানিলাম । বলিলাম-ও ! তুমি রামচরণের মেয়ে ? বিয়ে হয়েচে দেখােচ । শবশরে-বাড়ী কোথায় ? -কালোপাের। --বেশ বেশ ? এটি খোকা বঝি ? বয়েস কত হলো ? -এই দ’বছর। --বেশ । বেচে থােক। যাও বাড়ীর মধো যাও । --আপনার কাছে এইচি জ্যাঠামশাই । আপনি নোেক রাখবেন ? -লোক ? না, লোক তো আছে গায়লা-বেী । আর লোকের দরকার নেই। তো । কেন ? থাকবে কে ? —আমিই থাকতাম ! আপনার মাইনে লাগবে না, আমাদের দটো খেতে {{2न् । —কেন, তোমার শবশঙ্কুরবাড়ী ? মেয়েটি কোন জবাব দিল না। অতশত হাঙ্গামাতে আমার দরকার কি ? লেখার দেরি হইয়া যাইতেছে। সোজাসাজি বলিলাম-না লোকের এখন দরকার নেই আমার । তারপর মেয়েটি বাড়ীর মধো ঢাকিল এবং পরে শানিলাম। সে ভিক্ষা করিতে BDDDDSS Y DB uDD BBDBS মেয়েটির কথা ভুলিয়া গিয়াছিলাম, হঠাৎ একদিন দেখি, রায়েদের বাহিরের ঘরের পৈঠায় বসিয়া সেই মেয়েটি হাউমাউ করিয়া একটকরা তরমজ খাইতেছে। যেভাবে সে তরমাজের টাকরাটি ধরিয়া কামড় মারিতেছে, হাউমাউ কথাটি সম্ঠভাবে সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং ঐ কথাটাই আমার মনে আসিল। অতি মলিন বস্ত্র পরিধানে। ছেলেটি ওর সঙ্গে নাই। পাশে পৈঠার উপরে দএক টিকেরো পোপে ও একখন্ড তালের গড়ের পাটালি। অনমানে বঝিলাম