পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy0Vb বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প সাফল্য। ওর চোখে । তাহাকে তুচ্ছ করিয়া ছোট করিয়া নিন্দা করিবার ভাষা আমার যোগাইল না। সঙ্কল্প ঠিক রাখা গেল না। হাজ চা করিয়া আনিল। আর একখানা কাসার মাজা রেকাবিতে স্থানীয় ভাল সন্দেশ ও পোপে কাটা । কত আগ্রহের সহিত সে আমার সামনে জলখাবায়ের রেকবি রাখিল । সত্যিই আমারগা। ঘিন ঘন করিতেছিল। এমন জায়গায় বসিয়া কখনো খাই নাই—এমন বাড়ীতে । কিন্তু হােজর আগ্রহভরা সরল মাখের দিকে চাহিয়া পাত্রে কিছ অবশিষ্ট রাখিলাম না। হাজ খাব খাশি হইয়াছে।--তাহার মাখের ভাবে বঝিলাম । বলিল-কেমন চা করিচি জ্যাঠামশায় ? চা মোটেই ভালো হয় নাই-পাড়াগাঁয়ে চা, না গন্ধ, না আসবাদ । বললাম —কোথাকার চা ? -এই বাজারের। --তুই নিজে চা খাস ? —হ । দটি বেলা চা না খেলে সকালে কোনো কাজ করতে পারিনে, জ্যাঠামশায় । আমার হাসি পাইল । সেই হাজ !*** ছবিটি যেন চোখের সামনে আবার ফটিয়া উঠিল। রায়বাড়ীর বাহিরের উপঠার কাছে বসিয়া খোলাসদ্ধ তরমাজের টােকরো। হাউমাউ করিয়া চিবাইতেছে। সেই হাজ চা না খাইলে নাকি কোনো কাজে হাত দিতে পারে না ! বলিলাম--তাহলে এখন উঠি হাজ। সন্দে উৎরে গেল। আবার অনেকখানি রাল্ডা যাবো। হাজার দেখিলাম। এত শীঘ্ন আমাকে যাইতে দিতে অনিচ্ছা । গ্রামের এ কেমন আছে, সে কেমন আছে জিজ্ঞাসাবাদ করিল। বলিল-একটা কথা জ্যাঠামশায়, মাকে পাঁচটা টাকা দেবো, আপনি নিয়ে যাবেন ? লকিয়ে দিতে হবে কিন্তু টাকাটা। পাড়ার লোকে না জানতে পারে। মার বড় কািট । আমি মাসে মাসে যা পারি মাকে দিই। গত মাসে একখানা কাপড় পাঠিয়ে দিলাম । -कौद्ध शाऊ क्रिएक्ष क्ति ? —বিনোদ গোয়ালা এসেছিল, তার হাত দিয়ে লকিয়ে পাঠালাম। —তোর ছেলেটা কোথায় ? --মার কাছেই আছে। ভাবচি, এখানে নিয়ে আসবো । সেখান খেতেপরতে পাচে না । এখানে খাওয়ার ভাবনা নেই জ্যাঠামশায়, দোকানের খাবার খেয়ে তো অচ্ছেন্দ। হলো। সিঙ্গেড়া বলেন, কচুরি বলেন, নিমকি বলেন-তা খব। এমন আলীর দম করে ওই বটতলার খোট্টা দোকানদার, অমান আলীর দিম কখনো খাইনি। এই এত বড় বড় এক-একটা আল-আর কত রকমের মশালা-আপনি আর একটি বসবেন ? আমি গিয়ে আলর দাম আনবো ?