পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুচ্ছ SOS —সিগারেট খাচে । --ওমা, মেয়েমানষে সিগারেট খায় ? --মেমসাহেবরা খায় । দেখোঁচস, কখনো মেমসাহেব ? 一交戈目 —কোথায় ? —রাণাঘাট ইণ্ডিটেশানে । আড়ংঘাটা যাচ্ছিলাম যািগলকিশোর দেখতে, তাই দেখি রেলগাড়িতে বসে আছে। সাদা ধাপ, ধাপ করছে একেবারে। দেখলাম ও একা বসে থাকলেও দেওয়ালের ওই অকিঞ্চিৎকর ছবিগলো। দেখে বেশ আমোদ পাচে! আরও প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে আমি আবার ঢািকলাম ঘরে কি কাজে । মেয়েটি সেখানে ঠায় বসে আছে সেই ভাবেই । ওকে কেউ গ্রাহ্য করচে না বাড়ীর মেয়েরা । তাতে ওর কোন দঃখ নেই, দিব্যি একা একা বসে আছে । চলেও যায়নি । ও যে আমাদের ঘরে ঢকে মেঝের উপর বসে আছে, এই আনন্দে ও ভরপর । দিব্যি লাল রং দেওয়া মাঝাঘষা মেঝে, ঘরের বিছানা আসবাবপত্র দামী নয়, কিন্তু পরিণকার পরিচ্ছন্ন। দেওয়ালে যে শ্রেণীর ছবি, সে তো বলাই হলো। একখানা টেবিল, একটা চেয়ারও আছে । টাটার টেবিল ল্যাম্প আছে একটা । কতগলো মাটির পাতুল-যেমন গণেশ-জননী, গর, হরিণ, টিয়াপাখী, রাধাকৃষ্ণ প্রভৃতি-একটা কাঠের তাকে সাজানো আছে। গহসন্তজার এই সামান্য রােপই ওর চোখে আশ্চয্য ঠেকেছে, খাকির চোখ দেখলে তা বোঝা যায়। আমার কম্পট হলো ওকে কেউ আদর করে ওর সঙ্গে কথা বলচে না! ও সেটা আশাও করেনি। আমাদের গ্রামে তেমন ব্যবহার কামার কুমোরদের মেয়েদের সঙ্গে কেউ করে না। ওরা ঘরে ঢাকে বসতে পেয়েছে, এতেই ওরা অত্যন্ত খাঁশি আছে । আমি তেল মেখে নাইতে যাবো। নারকোল তেল আজকাল পাওয়া যায় না বলে বাড়ীর মেয়েদের ফরমাশ মত গন্ধতেলের বোতল আসে দোকান থেকে --হেন-কল্যাণ, তেন- কল্যাণ । আমি বোতল থেকে তেল বের করে মাথায় মাখচি দেখে ও চেয়ে রইল । আমি বল্লাম-গন্ধতেল একটি মাখবি খকি ? মেয়েটি অবাক হয়ে গেল। এমন কথা কেউ ওকে বলেনি, কোনো ব্রাহ্মণবাড়ীর কত্তা তো নয়ই । दgझ-ठूJा ! --সরে আয় দিকি মা । তারপর তার চোখদটির অবাক দটিকে অবাকাতর করে দিয়ে আমি নিজের হাতে তার মাথায় খানিক গন্ধতেল মাখিয়ে দিলাম, খোঁপা-বাঁধা চুলের ওপর ওপর । ও হেসে ফেল্পে । অনাদতা আদর পেয়ে লঙ্কজা পেলে । বল্লাম--কি রকম গন্ধ ? -চমৎকার, কাকাবাব।