পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SՀԵ বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প খব সাবধান ! রাত্রে শয়ে শয়ে ভাবলাম-না, এখান থেকে চলে যাই, আর এখানে নয় । পাগলের পাল্লায় পড়ে প্রাণটা যাবে দেখছি কোন দিন । শেষ রাত্রে সর্বপ্ন দেখলাম, পাগলী এসে যেন আমার সামনে দাঁডিয়েছে, সে চেহারা আর নেই, মদ, হাসি-হাসি মািখ । আমায় যেন বলছে-লাথিটা খাব লেগেছে, না রে ? তা রাগ করিস নে, কাল যাস আমার ওখানে। সকালে উঠেই আবার গেলাম। ও মা, সর্বপ্ন-টপ্ল সব মিথ্যে, পাগলী আমায় দেখে মারমাত্তি হয়ে শামশানের একখানা পোড়া-কাঠ আমার দিকে ছাড়ে মারলে। আমিও তখন মরণীয়া হয়েছি, বললাম।--তুমি তবে রাত্রে আমায় বলতে গিয়েছিলে কেন সর্বপ্নে ? তুমিই তো আসতে বললে তাই এলাম । পাগলী খিলখিল করে হেসে উঠল--তোকে বলতে গিয়েছিলাম সাবপ্নে ! তোর ম’ডু চিবিয়ে খেতে গিয়েছিলাম, হি-হি-হি-যা বেরো কেন জানি না, এই পাগলী আমাকে অদ্ভুত ভাবে আকৃৎটি করেছে, আমি বাঝলাম তখনই সেখানে দাঁড়িয়ে । এ যতই আমাকে বাইরে তাড়িয়ে দেবার ভান করােক, আমার মনে হলো ভেতরে ভেতরে এ আমায় এক অজ্ঞাত শক্তির বলে प्रेान्Cछ । হঠাৎ সে বললে-বোস এখানে । আঙলে তুলে দেখিয়ে দিল । তার আঙলে তুলে দেখিয়ে দেবার ভঙ্গিটা যেন খাব রাজা-জমিদারের ঘরের কত্রীর মত।--তার সে হকুম পালন না ক’রে যেন উপায় নেই । কাজেই বসতে হলো । সে বললে-কেন। এখানে এসে এসে বিরক্ত করিস, বল, তো ? তোর দ্বারা কি হবে, কিছু হবে না । তোর সংসারে এখনও পরো ভোগ রয়েছে। আমি চুপ করেই থাকি, খানিকটা বাদে পাগলী বললে-আচ্ছা, কিছ খাবি ? আমার এখানে যখন এসেছিস তার ওপর আবার বামন, তখন কিছ খাওয়ানো দরকার। বল কি খাবি ? পাগলীর শক্তি কতদার দেখবার জন্য বড় কৌতুহল হলো । এর আগে লোকের মাখে শানে এসেছি—যা চাওয়া যায় সন্ন্যাসীরা এনে দিতে পারে। কলকাতায় গন্ধবাবাজীর কাছে খানিকটা যদিও দেখেছি, সে আমার ততটা। আশচযা বলে মনে হয়নি। বললাম-খাব অমতি জিলিপি, ক্ষীরের বরাফি &ाद्ध धर्द्धभन्म दक्षिा । পাগলী এক আশ্চৰ্য্য ব্যাপার করলে, একটা মড়াপোড়া কয়লা তুলে নিয়ে আমার হাতে দিয়ে বললে-এই নে খা, ক্ষীরের বিরফি আমি তো অবাক ! ইতস্তত করছি দেখে সে পাগলের মত খিলখিল করে কি এক রকম অসম্পবদ্ধ হাসি হেসে বললে-খা-খা-ক্ষীরের বরফ খা আমার মনে হলো এ তো দেখছি পরো পাগল, কোন কান্ডিজ্ঞান নেই। এর কথায় মড়া-পোড়ানো কয়লা মাখে দেব-ছিঃ ছিঃ ! কিন্তু আমার তখন আর ফেরবার পথ নেই, অনেক দ’র এগিয়েছি। দিলাম। সেই কয়লা মাখে পরে, যা