পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOR বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প ডাক শানে থমকে দাঁড়ালাম। দেখি বটতলায় পাগলী বসে আছে, আর কেউ কোথাও নেই। আমার তখনও ভয় যায়নি। ভাবলাম, আজ আর কিছুতেই এখানে থাকব। ना, आछ झिान्न शाहे । পাগলী বললে--এসো, ব’স । বললাম--তুমি ওরকম ছোট মেয়ে সেজেছিলে কেন ? তোমার মতলবখানা fs ? পাগলী বললে-আ মরণ, ঘাটের মড়া, আবোল-তাবোল বকচে । বললাম-না, সত্যি কথা বলছি, আমায় কোন ভয় দেখিও না, যখন তোমায় মা ব’লে ডেকেছি। ! পাগলী বললে-শোন, তবে । তুই সে রকম ন’স। তন্ত্রের সাধনা তোকে দিয়ে হবে না, অত সাধ সেজে থাকবার কাজ নয়। থাক, তোকে দ"একটা কিছ দেবো, তাতেই তুই ক’রে খেতে পারবি। একটা মড়া চাই । আসবে শীগগির অনেক মড়া, এই ঘাটেই আসবে। ততদিন অপেক্ষা কর । কিন্তু যা ব’লে দেবো তাই করবি। রাজী আছিস ? শব-সাধনা ভিন্ন কিছ হবে না। তখন আমি মরীয়া হয়ে উঠেছি। আমি ভীতু লোক ছিলাম না কোনকালেই, তবও কখনও মড়ার উপর বসে সাধনা করব একথা কলপনাও করিনি । কিন্তু রাজী হলাম পাগলীর প্রস্তাবে। বললাম-বেশ, তুমি যা বলবে তাই করব। কিন্তু পলিসের হাঙ্গামার মধ্যে যেন না পড়ি। আর সবাতাতে রাজী আছি। একদিন সন্ধ্যার কিছু আগে গিয়েছি। সেইদিন দেখলাম পাগলীর ভাবটা যেন কেমন-কেমন, ও আমায় বললে--একটা মড়া পাওয়া গিয়েছে, চুপি চুপি միՇt| l জলের ধারে বড় একটা পাকুড় গাছের শেকড় জলের মধ্যে অনেকখানি নেমে গিয়েছে। সেই জড়ানো পাকানো জলমগন শেকড়ের মধ্যে একটি ষোল-সতেরো বছরের মেয়ে-মড়া বেধে আছে। কোন ঘাট থেকে ভেসে এসেছে বোধ হয় । ও বললে-তোলা, মড়াটা-শেকড় বেয়ে নেমে যা । জলের মধ্যে মড়া হালকা হবে। ওকে তুলে শেকড়ে রেখে দে। ভেসে না যায়। তখন কি করছি জ্ঞান ছিল না। মড়ার পরনে তখনও কাপড় । সেই কাপড় জড়িয়ে গিয়েছে। শেকড়ের মধ্যে। আমাকে বিশেষ বেগ পেতে হলো না, অলপ চেন্টাতেই সেটা টেনে তুলে ফেলি। পাগলী বললে-মড়ার ওপর বসে তোকে সাধনা করতে হবে।--ভয় পাবিনে তো ? ভয় পেয়েছ কি মরেছি। আমি হঠাৎ আশ্চৰ্য্য হয়ে চীৎকার করে উঠলাম। মড়ার মািখ তখন আমার নজরে পড়েছে। সেদিনকার সেই ষোড়শী বালিকা ! অবিকল সেই মািখ, সেই চোখ, কোন তফাৎ নেই। পাগলী বললে-চে’চিয়ে মরছিস কেন, ও আপদ । আমার মাথার মধ্যে কেমন গোলমাল হয়ে গিয়েছে তখন । পাগলীকে দে;ে তখন আমার অত্যন্ত ভয় হলো । মনে ভাবলাম, এ অতি ভয়ানক লোক দেখছি