পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৪২

NOf বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প শহরের মািখ দেখেছিলেন, আড়ম্বর বা বিলাসিতা-মনেরই বলন বা দেহেরই বলন-ঐ কলেজের। ক'টা বছরেই তার আরম্ভ ও শেষ। সে দিনগালো যত দরে গিয়ে পড়চে, রঙীন সমিতির প্রলেপ তাদের ওপর যে তত বিচিত্র ও মোহময় হয়ে পড়বে এটা খাব সবাভাবিক বটে । অবিনাশবাব, তামাক ধরিয়ে আমার হাতে দিয়ে আবার বলতে শহর করলেন । -হগলী জেলার কোনো এক গ্রামে ছিল আমার মামার বাড়ী । আমি জিজ্ঞেস করলাম-‘ছিল’। কেন ? এখন নেই ? -সে কথা পরে বলাঁচ-না, এখন নেই ধরে নিতে পারেন। কেন যে নেই, তার সঙ্গে গলে পর একটা সম্প্ৰবন্ধ আছে, গলপােটা শানলেই বৰূবেন। হগলী জেলার কোনো এক গ্রামে আমার মামার বাড়ী ছিল । ছেলেবেলায় যখন সব্বপ্রথম মায়ের সঙ্গে সেখানে যাই, তখন আমার বয়স বছর পাঁচেক ৷ আমাদের মামার বাড়ীর পাড়ায় আট-নয় ঘর ব্রাহ্মণের বাস, ঘোষা ঘোষ বসতি, এক চালে আগন লাগলে পাড়াসদ্ধ পড়ে যায়, এমন অবস্থা। কোঠাবাড়ী ছিল কেবল আমার মামাদের, আর-সব খড়ের ছাউনি, ছোট-বড় আটচালা ঘর, এ-পাড়া থেকে ও-পাড়া যাবার পথে একটা বড় আম-কাঁঠালের বাগান, বনজঙ্গল, সজনে গাছ ও দ-একটা ডোবা । বনজঙ্গলের মধ্যে দিয়ে অনেকদর গেলে তবে ও পাড়ার প্রথম বাড়ীটা । সেই বনজঙ্গলের মধ্যে কাদের একটা কোঠাবাড়ী খানিকটা গাঁথা হচ্ছে। সেবার কিছদিন থেকে চলে আসবার পর আবার যখন মামার বাড়ী গেলাম, তখন আমার আট বছর। গ্রামটা অনেক দিন পরে দেখতে বেরিয়ে চোখে পড়ল, এ-পাড়া ও ও-পাড়ার মধ্যে বা দিকে ডোবার ধারের একটা জায়গা। একটা অবাক হয়ে গেলাম। ডোবার পাড়ের জঙ্গল অনেকটা কাটানো, কাদের একটা কোঠাবাড়ী খানিকটা গাঁথা অবস্থায় দাঁড়িয়ে, কিন্তু মনে হলো অনেক দিন গাঁথনির কাজ বন্ধ আছে যে জন্যই হোক, কারণ, ভিতের গায়ে ও ঘরের মেজেতে ছোট-বড় ভাটিশেওড়ার গাছ গজিয়েচে, চুন-সারকি মাখার ছোট খানাতে পয্যন্ত বনমালোর চারা। মনে পড়ল, সেবার এসে বাড়ীটা গাঁথা দেখেছিলাম। এখনো গাঁথা শেষ হয়নি তো ! কারা বাড়ী তুলচে ? ছটে গিয়ে দিদিমাকে জিজ্ঞেস করলাম । -কারা ওখানে বাড়ী করচে দিদিমা, সেবার এসে দেখে গিাইচি, এখনও শেষ হয়নি ? JBB BDB BDBD DBB DB 0SSSDD BD DTDBDBBBD DDS BDD00 এখানে-তো থাকে না, তাই দেখাশোনার অভাবে গাঁথনি এগাচে না । আমার ভারি কৌতুহল হলো, সাগ্রহে বললাম-ভন্ডািলমামা কোথায় থাকে দিদিম? ভগডািলমামা কে -ভণ্ডল রেলে চাকরি করে, লালমণিরহাটে না কোথায়। আমাদের গাঁয়েই