পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR, বিভতিভাষণের শ্রেষ্ঠ গল্প অত বেলায় এখন শ্ৰীপতিদের বাড়ী গেলে তাদের খেতে বলতে হয় । অসময়ে এখন এসে তারা রান্নাবান্না চড়িয়ে খাবে, সেটা প্রতিবেশী হয়ে হতে দেওয়া কৰ্ত্তব্য নয়, কিন্তু সে ঋদ্ধাট ঘাড়ে করবার চেয়ে এখন না যাওয়াই বন্ধির কাজ । কিন্তু রাসচক্কত্তি আর প্রিয় মািখয্যের বাড়ীর মেয়েরা অত সহজে রেহাই পেলেন না। শ্ৰীপতি নিজে গিয়ে একেবারে অন্তঃপরের মধ্যে ঢকে বল্লেও পিসিমা, ও বৌদিদি, আপনারা আপনাদের বেীকে হাত ধরে ঘরে না তুললে কে আর তুলবে ? আসন সবাই । বাধ্য হয়ে কাছাকাছির দ-তিন বাড়ীর মেয়েরা শাক হাতে, জলের ঘাঁটি হাতে নতুন বেীকে ঘরে তুলতে এলেন-খানিকটা চক্ষলন্ত জায়, খানিকটা কৌতুহলে। মজা দেখবার প্রবত্তি সকলের মধ্যেই আছে। ছোটবড় ছেলেমেয়েরাও এল অনেকে, শান্তি এল, কমলা এল, সরল এল । শ্ৰীপতিদের বাড়ীর উঠোনে লিচুতলায় একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, দর থেকে মেয়েটির ধপধাপে ফস গায়ের রং ও পরনের দামী সিকের শাড়ী দেখে সকলে অবাক হয়ে গেল। সামনে এসে আরও বিস্মিত হবার কারণ ওদের ঘটলো মেয়েটির অনিন্দ্যসািন্দর মািখশ্ৰী দেখে। কি ডাগর ডাগর চোখ ! কি সংস্কমার লাবণ্য সারা অঙ্গে ! সর্বোপরি মািখশ্ৰী-আমন ধরণের মখে এসব পাড়াগাঁয়ে কেউ কখনো দেখে নি । সকলে আশা করেছিল গিয়ে দেখবে কালোকোলো একটা মোটামত ম্যাগী আধ-ঘোমটা দিয়ে উঠোনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্যাট প্যাট করে চেয়ে রয়েছে। ওদের দিকে। কিন্তু তার পরিবৰ্ত্তে দেখলে, এক নম্নমখী সন্দেরী তরণী মভি’ ৭ মাখখানি এত সৰুকুমার যে মনে হয় ষোল-সতেরো বছরের বালিকা। বিকেলে ও-পাড়ার নিতাই মখায্যের বৌ ঘাটের পথে চক্কত্তি গিন্নীকে জিজ্ঞাসা করলেন--কি দিদি, শ্ৰীপতির বোঁ দেখলে নাকি ? কেমন দেখতে ? চক্ষত্তি গিন্নী বল্লেন-না, দেখতে বেশ ভালইচকীত্ত গিন্নীর সঙ্গে শান্তি ছিল, সে হাজার হোক ছেলেমানষে, ভাল লাগলে পরের প্রশংসার বেলায় সে এখনও কাপণ্য করতে শেখে নি, সে উচ্ছসিত সরে বলে উঠলো-চমৎকার, খড়ীমা একবার গিয়ে দেখে আসবেন, সত্যিই অদ্ভুত ধরণের ভাল। নিতাই মখায্যের বোঁ পরের এতখানি প্রশংসা শািনতে অভ্যস্ত ছিলেন নাবাঝতে পারলেন না। শান্তি কথাটা ব্যঙ্গের সরে বলছে, না। সত্যিই বলছে। বল্লেন--কি রকম ভাল ? এবার চক্কত্তি গিন্নী নিজেই বল্লেন-না বোঁ, যা ভেবেছিলাম তা নয়। বৌটি সত্যিই দেখতে ভাল। আর কেনই বা হবে না বলো, শহরের মেয়ে, দিনরাত সাবান ঘষছে, পাউডার ঘষছে, তোমার আমার মত রাঁধতে হতো, বাসন মাজতে হতো, তো দেখতাম চেহারার কত জলস বজায় রাখে । এই বয়সে তো দারের কথা, তাঁর বিগত যৌবন দিনেও অজস্র পাউডার সাবান ঘষলেও যে কখনো তিনি শ্ৰীপতির বৌয়ের পায়ের নখের কাছে দাঁড়াতে