পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6-5a Sša বললেন-ইন্দ্ৰদানের ছেলে যে এমন হবে, সেটা বেশি কথা নয়। বাকীতে পেরেছি, তুমিই পারবে, এ আমি আগেও জানতাম । নিজের প্রশংসাবাদে প্রদানের তরণ সন্দের মািখ লতাজায় লাল হয়ে উঠল। অন্যান্য দ-এক কথার পর, প্ৰদৰ্শন বিদায় নিতে উদ্যত হলে সারদাস তাকে বললেন-শোন প্ৰদ্যুম্ন, একটা গোপনীয় কথা তোমার সঙ্গে আছে। তোমাকে এ কথা বলব বলে পক্ষেবাও আমি তোমাকে খোঁজ করেছিলাম ; তোমাকে পেয়ে খব ভালোই হয়েছে । কথাটা তোমাকে বলি, কিন্তু আগে তোমাকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, এ-কথা তুমি কারার কাছে প্রকাশ করবে না। প্ৰদ্যুশন অত্যন্ত বিদিমত হলো। এই পৌঢ়ের সঙ্গে তার মোটে এক দিনের আলাপ, এমন কি গোপনীয় কথা ইনি তাকে বলবেন ? সে বললে-কি কথা না শানে কি ক’রে- সরদাস বললেন-তুমি ভেবো না, কোনো অনিষ্টজনক ব্যাপার হলে আমি তোমাকে বলতাম না । কি কথা জানিবার জন্যে প্রদানের অত্যন্ত কৌতুহলও হলো, সে প্রতিজ্ঞা করলে সরদাসের কথা কারো কাছে প্রকাশ করবে না। সরদাস গলার সম্বর নামিয়ে বলতে লাগলেন-নদীর ঐ বড় বাঁকে ষে চিবিটা আছে জানো ? তার সামনেই বড় মাঠ ? ওই ঢ়িবিটায় বহন প্রাচীনকালে সরস্বতী দেবীর মন্দির ছিল ; শানেছি। এদেশের যত বড় বড় গায়ক ছিলেন, শিক্ষা শেষ করে সকলেই ওই মন্দিরে আগে এসে দেবীর পজা দিয়ে তুষ্ট না ক’রে ব্যবসা আরম্ভ করতেন না । সে অনেক দিনের কথা ; তার পর মন্দির ভেঙেচুরে ওই দাঁড়িয়েছে ! ঐ ঢিবিতে বসে আষাঢ়ী পণিমার রাতে মেঘ-মল্লার নিখতভাবে আলাপ করলে সরস্বতী দেবী স্বয়ং গায়কের কাছে আবিভক্তা হন । এ সংবাদ এদেশে কেউ জানে না । আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র এই তিন মাসের তিন পণিমায় প্রতি বার তাঁকে আনতে পারা যায়, তবে তাঁর বরে গায়ক সঙ্গীতে সিদ্ধ হয় । তাঁর বরে সঙ্গীত সংক্ৰান্ত কোনো বিষয় তখন গায়কের কাছে অজ্ঞাত থাকে না । তবে একটা কথা আছে, যে গায়ক বর প্রার্থনা করবে: সে অবিবাহিত হওয়া চাই। তা আমি বলছিলাম, সামনের পণিমায় তুমি আর আমি এই বিষয়টা চেষ্টা ক’রে দেখব, তুমি কি বল ? সরদাসের কথা শনে প্রদর্শন অবাক হয়ে গেল। তা কি করে হয় ? আচাষ্য বসব্রত কলাবিদ্যা সম্পবন্ধে উপদেশ দিতে দিতে অনেক বার ষে বলেছেন কলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর যে মাত্তি হিন্দরা কল্পনা করেন, সেটা নিছক কল্পনাই, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনো সম্পক নেই। সত্য সত্য তাঁকে দেখতে পাওয়া---এ কি সম্ভব ? প্রদর্শন চুপ করে রইল। সরদাস একটি ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করলেন-এতে কি তোমার আমত আছে ? প্ৰদ্যমান বললে-সে জন্যে না । কিন্তু আমি ভাবছিলাম। এটা কি ক’রে