পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re-SST3, Yğa সামনে। তার জানবার কৌতুহল হলো ইনি নিজের সম্পবন্ধে কি বলেন। সে জিজ্ঞাসা করলে--আপনারা এর আগে কোথায় ছিলেন ? আপনার দেশ কোথা ? দেবী কাঠের বড় পাত্রে সযত্নে সাপ ও অন্ন পরিবেষণে ব্যস্ত ছিলেন, প্রশন শনে বিস্ময়পণে দন্টিতে তিনি প্ৰদ্যুমেনর দিকে চেয়ে বললেন-আমার কথা বলছ ? আমার দেশ কোথায় জানিনে । আমি নাকি বিদিশার পথের ধারে এক ভাঙা মন্দিরে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলাম, সন্ন্যাসী আমায় এখানে উঠিয়ে এনেছেন । সেই থেকে এখানেই আছি।--তার আগে কোথায় ছিলাম তা আমার भ6न्म 2gिएछ क्रा | তিনি অন্যমনস্ক ভাবে বাইরে সাঁঝের রক্সিম আকাশে যেখানে উরাবিলাব গ্রামের প্রান্তরে বনরেখার মাথায় সােয্য হেলে পড়েছেন, সেই দিকে চেয়ে রইলেন। -চেয়ে চেয়ে কি মনে আনবার চেষ্টা করলেন, বোধ হয় মনে এল না । হঠাৎ কি ভেবে তাঁর পদ্মের পাপড়ির মতো চোখ দটি বেয়ে ঝরঝর কবে জল ঝরে 2ाएछी ! তাড়াতাড়ি অচিলে চোেখ মছে তিনি প্রদাশেনর সামনে অন্নে পণ্য কাঠের থালা রাখলেন । বললেন-খাবাব জিনিস কিছই নেই। তুমি রাত্রে এখানে থাকো, আমি পদ্মের বীজ শকিয়ে রেখেছি, তাই দিয়ে রাত্রে পায়েস তৈরী করে খেতে দেব । সকালে যেও । প্রদাশেনর চোখে জল আসছিল । ওগো বিশেবর আত্মবিসমতা সৌন্দয - লক্ষী, বিদিশার মহারাজের আর মহাশ্রেদ্ঠীর সমবেত রত্নভান্ডার তোমার পায়ের এক কণা ধলোরও যোগ্য নয়, সে-দেশের পথের ধলো এমন কি পণ্য করেছে মা, যে তুমি সেখানে পড়ে থাকতে যাবে ? খাওয়া শেষ হলে প্ৰদ্যমান বিদায় চাইলে । দেবীর চোখে হতাশার দটি ফটে উঠল, বললেন—থাকো না কেন, রাত্রে ? আমি রাত্রে পায়েস রোধে দেব । প্রদর্শন জিজ্ঞাসা করলে--আপনার এখানে একা রাত্রে থাকতে ভয় করে না ? —খব ভয় করে। ওই বেতের বনে অন্ধকারে কি যেন নড়ে, ভয়ে আমি দোর খলতে পারিনে। ঘাম হয় না, সমস্ত রাত ব’সেই থাকি । প্রদাশেনর হাসি পেলে, ভাবলে, রাত্রে একা থাকতে ভয় করে বলে পায়েসের লোভ দেখিয়ে দেবী তাকে সঙ্গে রাখতে চান । সে বললে-আচ্ছা রাত্রে থাকব । দেবীর মািখ আনন্দে উক্তজবল হলো । সমস্ত রাত সে কুটীরের বাইরে খোলা হাওয়ায় ব’সে কাটালে। দেবীও কাছে বসে রইলেন । বললেন-এমন জ্যোৎস্না, আমি কিন্তু ভয়ে বাইরে আসতে পারিনে, ঘরের মধ্যে ব’সে কাটাই ৷ দেবীর ব্যাপার দেখে প্ৰদ্যমান অবাক হয়ে গিয়েছিল । হলোই বা মন্ত্রশক্তি, কিন্তু এতটা আত্মবিস্মত হওয়া, এ যে তার কল্পনার বাইরের জিনিস । নানা গলেপ সমস্ত রাত কাটল, ভোর হলে সে বিদায় চাইলে ।