পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SG O বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প গণাঢ্য বললেন-আমি এখান থেকে আগে চ'লে যাই, তার পর এই ঘটপণ জল দেবীর গায়ে ছিটিয়ে দিও। তাঁর চক্ষ অশ্রাপণ হলো । আবেগভরে তিনি প্ৰদৰ্শনকে আলিঙ্গন ক’রে বললেন-আমি কাপােরষি, আমার সে সাহস নেই, নইলে তিনি কুটীর-মধ্যে তাঁর দ্রব্যাদি সংগ্ৰহ ক’রে নিলেন । তারপর সর পথ বেয়ে বেত বনের ধার দিয়ে পাহাড়ের অপর পারে চ’লে গেলেন, তারই নীচে একটা দরে মগধ থেকে বিদিশা যাওয়ার রাজবল্ম । প্ৰদৰ্শন চারিদিক চেয়ে ব’সে ব’সে ভাবলে, ঐ নীল আকাশের তলে বিশ বৎসর আগে সে মায়ের কোলে জন্মেছিল, তার সে মা বারাণসীতে তাদের গাহটিতে ব'সে বাতায়ন-পথে সন্ধ্যার আকাশের দিকে চেয়ে হয়তো প্রবাসী পাত্রের কথাই ভাবছেন-মায়ের মািখখানি একবারটি শেষবারের জন্যে দেখতে তার প্রাণ আকুল হয়ে উঠল। ঐ পােব আকাশে নবমীর চাঁদ কেন উক্তজবল হয়েছে ? মগধ যাবার রাজপথের গাছের সারির মাথায় একটা তারা ফটে উঠল । বেত বনের বেতডাঁটাগলো তরল অন্ধকারে আর ভালো দেখা যায় না । প্রদাশেনর চোখ হঠাৎ অশ্রাপণ হলো । সেই সময় সে দেখলে-দেবী জল নিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে আসছেন । মন্ত্রপাত জলপণ ঘট সে মাটিতে নামিয়ে রেখেছিল ; দেবীকে আসতে দেখে সে তা হাতে তুলে নিলে । দেবী কুটীরের সামনে এলেন, তাঁর হাতে অনেকগলো আধ-ফোটা কুমদ ফল । পুদ্যমানকে জিজ্ঞাসা করলেন--সন্ন্যাসী কোথায় ? প্ৰদ্যমান বললে--তিনি আবার কোথায় চ’লে গেলেন । আজ আর Šामदाक्र क्रा । তারপর সে গিয়ে দেবীর পায়ের ধলো নিয়ে তাঁকে প্ৰণাম ক'রে বললেমা, না জেনে তোমার ওপর অত্যন্ত অন্যায় আমি করেছিলাম, আজ তারই শান্তি আমাকে নিতে হবে । কিন্তু আমি তার জন্যে এতটকু দঃখিত নই। যতক্ষণ জ্ঞান লাপ্ত না হয়ে যায়, ততক্ষণ এই ভেবে আমার সখ যে, বিশেবর সৌন্দৰ্য্যলক্ষয়ীকে অন্যায় বাঁধন থেকে মক্ত করার অধিকার আমি পেয়েছি । দেবী বিীসমত দণ্টিতে প্রদাশেনর দিকে চেয়ে রইলেন । প্ৰদ্যশন বললে—শােনন, আপনি বেশ করে মনে ক’রে দেখােন দেখি আপনি কোথা থেকে এসেছিলেন ? দেবী বললেন-কেন, আমি তো বিদিশার পথের ধারেপ্ৰদ্যুম্ন এক অঞ্জলি জল তাঁর সবঙ্গে ছিটিয়ে দিলে । সদ্যোনিদ্রোখিতার মত দেবী যেন চমকে উঠলেন- • • • • • প্ৰদৰ্শন দঢ় হস্তে আর এক অঞ্জলি জল দেবীর সবাঙ্গে ছড়িয়ে দিলে । নিমেষের জন্যে তার চোখের সামনে বাতাসে এক অপৰিব সৌন্দয্যের স্নিগ্ধপ্রসন্ন হিল্লোল ব’য়ে গেল। তার সারা দেহ,মন আনন্দে শিউরে উঠল ; সঙ্গে