পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৮২

ՏԳեj বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প ক্ষেন্তি বিপন্ন চোখে মার মাখের দিকেই চাহিয়া ছিল, উত্তর দিল-হ্যাঁ । অর্ষপণা তেলে-বেগানে জৰলিয়া উঠিয়া বললেন-পাজী, আজ তোমায় পিঠে আমি আস্ত কাটের চেলা ভাঙিব তবে ছাড়ব, বিরোজপোতার বনে গিয়েছে মেটে আল চুরি করতে ! সোমািত্ত মেয়ে, বিয়ের যাগ্য হয়ে গেছে কোন কালে, সেই একগলা বিজন বন, যার মধ্যে দিনন্দ পারে বাঘ লকিয়ে থাকে, তার মধ্যে থেকে পরের আল নিয়ে এল তুলে ? যদি গোসাঁইরা চৌকিদার ডেকে তোমায় ধরিয়ে দেয় ? তোমার কোন বেশ কের এসে তোমায় বাঁচাত ? আমার জোটে খাব, না জোটে না খাব, তা ব’লে পরের জিনিসে হাত ? এ মেয়ে আমি কি করব মা। : দ-তিন দিন পরে একদিন বৈকালে, ধলামাটি মাখা হাতে ক্ষেনিত মাকে BB DDDY DS BB DDBDS অন্নপণা গিয়া দেখিলেন ভাঙ্গা পাঁচিলের ধারে যে ছোট খোলা জমিতে কতকগলো পাথরকুচি ও কণ্টিকারীর জঙ্গল হইয়াছিল, ক্ষেনিত ছোট বোনটিকে লইয়া সেখানে মহা উৎসাহে তরকারির আওলাত করিবার আয়োজন করিতেছে এবং ভবিষ্যসম্ভাবী নানাবিধ কাল্পনিক ফলমলের অগ্রদত্ত-স্বরািপ বত্তমানে কেবল একটিমাত্র শীণকায় পাইশাকের চারা কাপড়ের ফালির গ্ৰনিহবন্ধ হইয়া ফাঁসি হইয়া যাওয়া আসামীর মতন উদ্ধােমখে একখন্ড শক্ষিক কঞ্চির গায়ে ঝালিয়া রহিয়াছে। ফলমলাদির অবশিষ্টগলি আপাতত তাঁর বড় মেয়ের মস্তিকের মধ্যে অবস্থিতি করিতেছে, দিনের আলোয় এখনও বাহির शं नाशे । অন্নপণ হাসিয়া বললেন-দর পাগলী, এখন পাই ডাঁটার চারা পোঁতে কখনো ? বন্যাকালে পািততে হয় । এখন যে জল না পেয়ে ম’রে যাবে ? ক্ষেনিত বলিল-কেন, আমি রোজ জল ঢালিব ? অন্নপােণা বলিলেন-দেখ, হয়তো বেচে যেতেও পারে। আজকাল রাতে খব শিশির হয়। খাব শীত পড়িয়াছে। সকালে উঠিয়া সহায়হরি দেখিলেন, তাঁহার দই ছোট মেয়ে দোলাই গায়ে বধিয়া রোদ উঠিবার প্রত্যাশায় উঠানের কাঁঠালতলায় দাঁড়াইয়া আছে। - একটা ভাঙা ঝাড়ি করিয়া ক্ষেন্তি শীতে কাঁপিতে কপিতে মািখয্যে বাড়ী হইতে গোবর কুড়াইয়া আনিল । সহায়হরি বললেন-হ্যাঁ মা ক্ষেন্তি, তা সকালে উঠে জামাটা গায়ে দিতে তোর কি হয় ? দেখ দিকি, এই শীত ? --আচ্ছা দিচ্ছি। বাবা-কই শীত, তেমন তো • • • -হ্যাঁ, দে মা, এক্ষনি দে-অসখি-বিসািখ পাঁচ রকম হতে পারে বাবলি নে ?--সহায়হাঁর বাহির হইয়া গেলেন, ভাবিতে ভাবিতে গেলেন, তিনি কি অনেক দিন মেয়ের মাখে ভালো করিয়া চাহেন নাই ? ক্ষেতির মািখ এমন সশ্রী হইয়া উঠিয়াছে ?• • • জামার ইতিহাস নিম্নলিখিত রূপ। বহ বৎসর অতীত হইল, হরিপরের