পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbo বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প মাখাইতে প্রশেনর সদত্তর খ্যজিতে লাগিলেন । ক্ষেনিত বলিল-খেদীর ওই সব কথা । খেদিীর মা তো ভারী পিঠে করে। কিনা ! ক্ষীরের পর দিয়ে ঘিয়ে ভাজলেই কি আর পিঠে হলো ? সেদিন জামাই এলে ওদের বাড়ী দেখতে গেলাম। কিনা, তাই খড়ীমা দ’খানা পাটিসাপটা খেতে দিলে, ওমা কেমন একটা ধরা-ধরা গন্ধ - আর পিঠেতে কখনো কোনো গন্ধ পাওয়া যায় ? পাটিসাপটায় ক্ষীর দিলে ছাই খেতে হয় । বেপরোয়া ভাবে উপরোন্ত উক্তি শেষ করিয়া ক্ষেনিত মার চোখের দিকে চাহিযা জিজ্ঞাসা করিল-মা, নারকেলের কোরা একটি নেব ? অন্নপাণ বলিলেন-নে, কিন্তু এখানে বসে খাস নে । মাখ থেকে পড়বে না কি হবে, যা ঐদিকে যা । ক্ষোন্তি নারকেলের মালায় এক থাবা তুলিয়া লইয়া একটি দরে গিয়া খাইতে লাগিল। মািখ যদি মনের দপণ সম্বরপ হয়, তবে ক্ষেতির মািখ দেখিয়া সন্দেহের কোনো কারণ থাকিতে পারিত না যে, সে অত্যন্ত মানসিক তৃপ্তি অনভব করিতেছে। ঘণ্টাখানেক পরে অন্নপাণ বলিলেন-ওরে, তোরা সব এক এক টকরো পাতা পেতে বোস তো দেখি, গরম গরম দিই। ক্ষেন্তি, জল-দেওয়া ভাত আছে ও-বেলার, বার করে নিয়ে আয় । ক্ষেতির নিকট অন্নপণার এ প্রস্তাব যে মনঃপত হইল না, তাহা তার মািখ দেখিয়া বোঝা গেল । পটি বলিল-মা, বড়দি পিঠেই খাক । ভালোবাসে। ভাত বরং থাকুক, আমরা কাল সকালে খাব। খানকয়েক খাইবার পরেই মেজো মেয়ে পটটি খাইতে চাহিল না । সে নাটক অধিক মিনিট খাইতে পারে না । সকলের খাওয়া শেষ হইয়া গেলেও ক্ষেলিত তখনও খাইতেছে। সে মািখ বজিয়া শান্তভাবে খায়, বড় একটা কথা কহে না । অন্নপণা দেখিলেন, সে কম করিয়াও আঠারো-উনিশাখানা খাইয়াছে। জিজ্ঞাসা করিলেন-ক্ষেনিত, আর নিবি ? ক্ষেন্তি খাইতে খাইতে শান্তভাবে সম্পমতিসচক ঘাড় নাড়িল। অন্নপােণা তাহাকে আরও খানকয়েক দিলেন। ক্ষেতির মািখ চোখ ঈষৎ উক্তজবল দেখাইল, হাসি ভরা চোখে মার দিকে চাহিয়া বলিল-বেশ খেতে হয়েছে মা । ঐ যে তুমি কেমন ফেনিয়ে নাও, ওতেই কিন্তু “ । সে পােনরায় খাইতে লাগিল । অষপণা হাতা, খন্তী, চুলী তুলিতে তুলিতে সস্নেহে তাঁর এই শান্ত নিরীহ একটি অধিক মাত্রায় ভোজনপটী মেয়েটির দিকে চাহিয়া রহিলেন । মনে মনে ভাবিলেন-ক্ষেৰিত আমার যার ঘরে যাবে, তাদের অনেক সখি দেবে। এমন ভালেমানষে, কাজ কৰ্ম্মে বকো, মারো, গাল দাও, টা শব্দটি মাখে নেই। উচু কথা কখনো কেউ শোনেনি বৈশাখ মাসের প্রথমে সহায়হাঁরর এক দর-সম্পকীয় আত্মীয়ের ঘটকালিতে ক্ষেতির বিবাহ হইয়া গেল । দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ করলেও পালটির বয়সী।