পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাই মাচা >b*S চল্লিশের খাব বেশি কোনোমতেই হইবে না। তবও প্রথমে এখানে অন্নপণো আদৌ ইচ্ছক ছিলেন না, কিন্তু পাত্রটি সঙ্গতিপন্ন, শহর অঞ্চলে বাড়ী, সিলেট চুন ও ইটের ব্যবসায়ে দ’পয়সা নাকি করিয়াছে-এরকম পাত্র হঠাৎ মেলাও दएछ झर्दछौं किना ! জামাইয়ের বয়স একটি বেশি, প্রথমে অন্নপােণা জামাইয়ের সম্মখে বাহির হইতে একটা সঙ্কোচ বোধ করিতেছিলেন, পরে পাছে ক্ষেতির মনে কািট হয় এই জন্য বরণেব সময় তিনি ক্ষেতির সপলেট হস্তখানি ধরিয়া জামাইয়ের হাতে তুলিয়া দিলেন-চোখের জলে তাঁহার গলা বন্ধ হইয়া আসিল, কিছু বলিতে পারিলেন না । বাড়ীর বাহির হইয়া আমলকীতলায় বেহােরারা সংবিধা করিয়া লইবার জন্য বরের পালকী একবার নামাইল । অন্নপাণ চাহিয়া দেখিলেন, বেড়ার ধারের নীল রং-এর মেদিফলের গােচ্ছগলি যেখানে নত হইয়া আছে, ক্ষেতির কম দামের বালিচরের রাঙা চেলীর আচলখানা পালকীর বাহির হইয়া সেখানে লটাইতেছে । – তাঁর এই অত্যন্ত অগোছালো, নিতান্ত নিরীহ এবং একট, অধিক মাত্রায় ভোজনপট মেয়েটিকে পরের ঘরে অপরিচিত মহলে পাঠাইতে তাঁর বািক উদ্বেল হইয়া উঠিতেছিল । ক্ষেন্তিকে কি অপরে ঠিক বঝিবে ?-- যাইবার সময়ে ক্ষেন্তি চোখের জলে ভাসিতে ভাসিতে সান্ত্বনার সরে বলিয়াছিল--মা, আষাঢ় মাসেই আমাকে এনো” – “বাবাকে পাঠিয়ে দিও • দ’টো মাস তো • • ও-পাড়ার ঠানদিদি বলিলেন-তোর বাবা তোর বাড়ী যাবে কেন রে, আগে নাতি হোক।--তবে তো • • • ক্ষেতির মািখ লক্ষজায় রাঙা হইয়া উঠিল । জলভরা ডাগর চোখের উপর একটখানি লাজক হাসির আভা মাখাইয়া সে একগয়েমি সরে বলিল-না, যাবে না বৈ কি !” • দেখো তো কেমন না যান। ফালগন-চৈত্র মাসের বৈকালবেলা উঠানের মাচায় রৌদ্রে দেওয়া আমসত্ত্ব তুলিতে তুলিতে অন্নপণার মন হ হ কারিত “তাঁর অনাচারী লোভী মেয়েটি আজ বাড়ীতে নাই যে, কোথা হইতে বেড়াইয়া আসিয়া লঙজাহীনার মতন হাতখানি পাতিয়া মিনতির সরে অমনি বলিবো-মা, বলব একটা কথা ? ঐ কোণটা ছিড়ে একটুখানি • • এক বছরের উপর হইয়া গিয়াছে। পানরায় আষাঢ় মাস। বিষ বেশ নামিয়াছে। ঘরের দাওয়ায় বসিয়া সহায়হাঁর প্রতিবেশী বিষ্ণ, সরকারের সহিত কথা বলিতেছেন। সহায়হাঁর তামাক সাজিতে সাজিতে বলিলেন-ও তুমি ধ’রে রাখি, ও রকম হবেই দাদা। আমাদের অবস্থার লোকের ওর চেয়ে ভাল কি আর জটিবে ? বিষ্ণ, সরকার তালপাতার চাটাইয়ের উপর উব হইয়া বসিয়াছিলেন, দর