পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশল পাহাড়ী SA --রাস্তাঘাটে মেরে ধরে নেয় না ? রিভলভার নেই ? হাতবোমা নেই ? জিপি নেই ? -ওসব শোনেনি কখনো এরা। চুরিই জানে না । -চলে কি করে এদের ? চাষ তো তেমন দেখােচ নে । --বিরহোড় জাত এদিকে বেশি। তারা বনের গাছে শিমের লতা তুলে দ্যায় --যেখানে সেখানে। ওই শিমই তাদের খাদ্য । আর পাখী, খরগোস, গিরগিটি, সাপ সবই ওদের খাদ্য । আলেপ সন্তুঘাট, খাটতে চায় না । মহয়ার তাড়ি খেয়ে তিন দিন বাদ হয়ে রইল। টাকার মাল্য বোঝে খািব কমই। একটি বিরহোড় পরিবারের পণ্য কুটীর পড়লো পথের পাশে বনের আড়ালে । পরবষ নেই। মেয়েরা উদখলে চিড়ে কুটচে। সন্দির, সঠিাম দেহভঙ্গি, আটটি স্বাস্থ্য উপচে পড়ােচ সারা শরীর বেয়ে । মাখের হাসি পবিত্র, সলঙ্গজ । ওদের ঘরের কাছে অন্য কোনো ঘর নেই-আছে দরে দরে। কোনো বাঙালীর মেয়ে এই নিবিড় বনের মধ্যে এমনধারা পর্ণকুটীরে একা ছেলেপলে নিয়ে থাকতে পারবেন না একদিনও । তাঁদের সভ্যতাদৰবলৈ মন বাঘ ভালক ভতের ভয়ে আড়স্ট হয়ে যাবে একদিনে । হাতে পায়ে খিল লাগবে । সভ্যতা আমাদের শরীর ও মন নিস্তেজ করে দিয়েছে। এ কথার সত্যতা শহরে থেকে তত উপলব্ধি করা যাবে না। এক ট্রাম-সটপ থেকে অন্য ট্রাম-পটপ পযন্ত যেতে হলে যেখানে লোকে ট্রামে ওঠে, সেখানে থেকে বঝতে পারা যাবে। না মক্ত আরণ্য জীবনের সাহস, শক্তি, তেজ, কািন্টসহিষ্ণতা । ভালো ক’রে বাঝলাম সেটা আজ । অস্তদিগন্ত পাটল বণের রঙে আকাশ রাঙিয়েচে, বনতরীর শীষে শীষে রাঙা আলো, লতার দলনি ঝোপে ঝোপে—সে সময় ভৈরব থানে আমরা পৌছে গেলাম । সাথী বল্লেন--সঙ্গে মশারি আছে আমাদের ? --নেই --তবে ? --মশা খাব ? SYOO D gK E BDDS -চীনে ধােপ দ-একটা সািটকেসে আছে, জবালাবো এখন । থাকবো। কোথায় ? -একটা ঘর আছে, সেখানে কেউ থাকে না । গাড়োয়ানকে দিয়ে ঝাঁট দিয়ে পরিস্কার করে নেবো । রান্না করা যাবে রাত্রে । --খব ভালো। এ তো এক রকমের পিকনিক । এখন মনে হচ্চে মেয়েদের নিয়ে এলে খাব আমোদ হতো। --সামনের পণিমায় মেলা হবে এখানে। কলকাতা থেকে মা-লক্ষীকে নিয়ে আসন সে সময়ে, চমৎকার হবে । -সান্ধীজির সঙ্গে দেখা হবে না এখন ? --নিশ্চয় হবে । চলন, ডেরা ঠিক করে নিয়ে তারপর ওখানে