পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNO বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প দলাদলির ফল এই দাঁড়াবে তারপর চললো বিশেলষণ। রাজনৈতিক তথ্যের বিশেলষণ । সেই বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত, সমাবেশ, সাঁশিক্ষিত ভদ্রজনসমাগমের মধ্যে বসে আমার মনে আসছিল, কুশল পাহাড়ীর সেই প্রাচীন সাধার কথা। তাঁর সেই সন্দর সরল বাণী নির্জন বনানীঘেরা বটতলাটিতে যা সে-রত্রে উচ্চারিত হয়েছিল, এখানে বসে আবার তারই সমৰ্তি উঠলো জেগে অতীত দিনের দ্রুত, আধো-ভোলা আধো-মনে-পড়া কোনো মধ্যর গানের একটি চরণের V5 আর একটি কথা তিনি বলেছিলেন। কি অদ্ভুত বাণী ছিল সেটা সেই ভরা ভাদরের বেতসকুঞ্জে ও শালবীথির পরিবেশটিনীতে। মস্ত বড় একটি বাণী । दलछलिन ऊिनि : "মন্তির ধারণা বন্ধন আছে বলেই আসে। যথার্থ বিচারের দণ্টিতে মানষের মন্তিও নেই, বন্ধনও নেই। ব্ৰহ্ম এক অচিন রাজ্য, যে সেখানে মায়, সেই বোঝে ব্রহ্ম দ্বৈতও নয়, অদ্বৈতও নয়। তিনি শাস্ত্রেরও পারে, বাদানিবাদেরও পারে ; দ্বৈতবাদের প্রতিপাদ্য নয়, অদ্বৈতবাদেরও প্রাপ্য নয়। অন্যভতিই একমাত্র জিনিস। মানষে মস্ত আছেই, কেবল সে সম্পবন্ধে সচেতন নয় সে। মানষি সদামান্ত, সে মানষ । কিছ. পড়তে হবে না। কিছ, সাধনা করতে হবে না। অনািভতিই উত্তরায়ণের সেই অভিযাত্রী, যা তাকে পলকে মাত্তির জ্যোতিলোকে নিয়ে গিয়ে তুলতে পারে। বিশ্ববাস কর বাবা। মানষি মন্ত। সে-ই নিজেকে নিজে বোধেচে । সেই অন্যভব করােক সে মক্ত। সে মানষ, সে মন্ত ।”