পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৯৯

नाष्ठिक Nsőt জোনাকি পোকার ঝাঁক জলত, ” “নদীর ঝিরঝরে ঠান্ডা বাতাসে একটি শান্তিলাভ করবার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেই সব নীরব নৈশ প্রশন প্রেতের মতন তাঁকে পেয়ে বসত। এবার সেটা আসত। অন্ধকারের রােপ ধ’রে । আলোর যদি সন্টিকত্তা থাকে, তবে অন্ধকারের আর একটা সন্টিকত্তার কি প্রয়োজন আছে ? আলোর অভাবই যদি অন্ধকার হয়, অন্ধকার কি তবে সর্বপ্রকাশ ? স্বয়ম্ভ ? • * সন্টির পর্বের জিনিস ? লোকনাথ আবার ধীরে ধীরে ঘরের মধ্যে ঢাকতেন, আবার তত্ত্বসমাসের পথিখানা উঠিয়ে নিয়ে প্রদীপের শিখা আঙল দিয়ে উক্তজবল ক’রে তুলতেন । সেদিন তিনি পড়ছিলেন না, সারাদিন কেবল চুপ ক’রে আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে কি ভাবছিলেন। যে রহস্য ভেদ করবার জন্য তাঁর মন সব্বদাই অ্যাকুল, সে রহস্য ভেদ করবার আশা ক্ৰমেই যেন দরে চলে যাচ্ছে, সব দিকেই অন্ধকার, কোনো দিক থেকে কোনো আলোক আসবার চিহ্ন দেখা যায় না । কয়েক বৎসর পর্বে তাঁর মনে হতো কোনো কোনো আত্মস্থ ঋষি কোন প্রাচীন যাগে তাঁদের জীবনের কোনো এক শােভ মহত্তে এ জীবনরহস্যের সন্ধান বোধ হয় পেয়েছিলেন । ভবিষ্যৎ বংশধরগণের জন্য তাই তাঁরা আশবাসবাণী লিপিবদ্ধ ক’রে রেখে গিয়েছিলেন - 'পেয়েছি পেয়েছি , ‘’ ৷ তাঁর মনে হলো প্রথম যেদিন তিনি উপনিষদের এক জীণ পথির পাতায় এ কথার সন্ধান পেয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স এখনকার চেয়ে কুড়ি বৎসর কম। সে এক বিষরি রাত্রিকাল, স্তবধ নিশীথ রাত্রে, নিজজন মাঠ বেয়ে সেদিন অশান্ত বাধা-বন্ধনহীন বাতাস হ হ ক’রে ঝড়ের বেগে বয়ে যাচ্ছিল, স্তিমিতপ্রদীপ কুটীরে একা ব’সে পথির মধ্যে তার সন্ধান পেয়ে ক্ষণিকের জন্য লোকনাথের সমস্ত শরীর সপন্সপন্টের মতন শিউরে উঠেছিল ‘পথি বন্ধ করে ঘরের বাইরে চেয়ে তাঁর মনে হয়েছিল। গাছপালা, দৰবা, নদীজল, সব যেন তাঁরই মতন শিউরে শিউরে উঠছে । এখন তাঁর সে কথা মনে পড়ে হাসি পেল । অলপ বয়সের সেই কাঁচা, ভাবপ্রবণ মনের দিকে নীচু চোখে চেয়ে দেখে তাঁর বক্তমান সময়ের প্রবীণ মন সকৌতুকস্নেহে রঞ্জিত হয়ে উঠল। মানষের মন নিন্দিািলট গগাড়ী অতিক্ৰম ক’রে অগ্রসর হতে পারে না ; যে বলে,-জেনেছি, সে ভগড, নয় সে আত্মপ্রতােরক মািখ ! কি বঝতে হবে, সে সম্পবন্ধে তার কিছর ধারণাই নেই। হঠাৎ তাঁর অন্যমনস্ক দটি দরের নীল-শৈলসানািলশন প্রথম বসন্তের নবপলিপিত রপ্তপলাশের বনে আবদ্ধ হয়ে পড়ল । অনেকদিন আগের কথা । তখন লোকনাথের বয়স একুশ বৎসর। --কিছ না, মায়া লক্ষীটি, আমি, এই ধরে সাতবছরের মধ্যেই আসব। -- পড়া শেষ হতে কি আর এর বেশি নেবে ? বড় জোর সাতবাচ্ছরই হোক । তোমায় ফেলে এর বেশি কি আর থাকতে পারব ? বাকলে ? সতের বৎসরের মায়া সলঙ্গজ হেসে বলে--সাতবাচ্ছর • • এত কম সময় । এ আর এমন বেশি কি ।