পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sk; বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প ফটফটে ছেলে শিব শ্ৰীপতির বৌয়ের আপন ভাইবোন, বাকী সবাই কেউ খড়তুতো, কেউ জ্যাঠতুতো ভাইবোন । ক্ৰমে আরও জানা গেল শ্ৰীপতির বৌ এদের চিঠি লিখিয়ে আনিয়েছে থিয়েটার করানোর জন্যে । পাড়ার সবাই রােপ দেখে অবাক । এসব পাড়াগাঁয়ে অমন চেহারার ছেলে মেয়ে কেউ কল্পনাই করতে পারে না। দশ বছরের সেই ছেলেটার নাম পিণ্ট, সে শান্তির ন্যাওটা হয়ে গেল। সে আবার সাঁতার দেবার নীল রঙের পোশাক এনেছে ; সিক্ত নীল পোশাক, সগৌর দেহ, যখন সে নদীর ঘাটে স্নান করে উঠে দাঁড়ায়-তখন ঘাটসদ্ধ মেয়েরা-বোস গিন্নী, মণটর মা, মজমিদার গিন্নী ওর দিকে হাঁ করে চেয়ে থাকেন। রােপ আছে বটে ছেলেটির ! শান্তি দস্তুরমত গন্ধব অনভব করে, যখন পিণ্ট অনাযোগ করে বলে-আঃ শান্তিদি, আসন না উঠে, ভিজে কাপড়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো ? আসন, বাড়ী যাই । পজো এসে পড়লো। এ-গাঁয়ে কোনো উৎসব নেই পড়জোয়, গরীবদের গাঁয়ে পজো কে করবে ? দীর থেকে সত্ৰাজিৎপরের বাঁড়িয্যে বাড়ীর ঢাক শনেই গাঁয়ের মেয়েরা সন্তুষ্ট হয়। ভিন গাঁয়ে গিয়ে মেয়েদের পজো দেখবার রীতি না থাকায় অনেকে দশ পনেরো কি বিশ বছর দােগা প্রতিমা পর্যন্ত দেখে নি। মেয়েদের জীবনে কোনো উৎসব আমোদ নেই এ গাঁয়ে ।

  • শ্ৰীপতির বোঁ তাই একদিন শান্তিকে বলেছিল--সত্যি, কি করে যে তোরা থাকিস ঠাকুরঝি-একটা গান নেই বাজনা নেই, বই পড়া নেই, মানষে যে কেমন করে থাকে। এমন করে !

বোধ হয়। সেই জন্যেই এত উৎসাহের সঙ্গে ও লেগেছিল থিয়েটারের ব্যাপারে । শ্রীপতিদের বাড়ীর লম্বা বারান্দার একাধারে তস্তপোষ পেতে দড়ি টাঙিয়ে হলদে শাড়ী ঝলিয়ে সেন্টজ করা হয়েছে । শ্রীপতির বৌ ভাইবোনদের নিয়ে সকাল থেকে খাটচে । শান্তি বল্লে-তুমি এত জানলে কি করে বৌদি ? রমা বল্লে-তুমি জানো না দিদিকে শান্তিদি । দিদি অল বেঙ্গল মিউজিক কলিপিটিশনে শ্রীপতির বেী ধমক দিয়ে বোনকে থামিয়ে দিয়ে বল্লে-নে, নৌ-যা, অনেক কাজ বাকী, এখন তোর অত বস্তৃতা করতে হবে না। দাঁড়িয়ে রুমা না থেমে বল্লে-আর খব ভাল পার্ট করার জন্যেও সোনার মেডেল পেয়েছে-যতবার পয়লা বোশেখের দিন আমাদের বাড়ীতে থিয়েটার হয়, দিদিই তো তার পাশডা-জানো আমাদের কি নাম দিয়েছেন জ্যাঠামশায় ? শ্রীপতির বেী বল্লে-আবার ? 33T (3G (QECSI (5ő মহাস্টমীর দিন আজ । শািন্ধ মেয়েদের আর ছোট ছোট ছেলেদের দিয়ে থিয়েটার। দেখবে শািন্ধ মেয়েরাই-সমস্ত পাড়া কুড়িয়ে সব মেয়ে এসে জটেছে