পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌরীফল Oct. দেন নাই ! কিশোরীর দোষ নাই, কেননা সে বড় একটা বাড়ীতে থাকিত, না, সংসারের সংবাদ তেমন রাখিতও না । আসল কথা হইতেছে এই যে রান্নাঘরের পিছনে খিড়কীর বাহিরে অনেক শািকনা বাঁশ ও ডালপালা পড়িয়া আছেসশীলা রান্না চড়ানোর পন্ধেব বা রান্না করিতে করিতে প্রয়োজন মত এগলি দা দিয়া কাটিয়া লইযা কাজ চালাইত। রামতন দেখিলেন, কাজ যখন চলিয়া যাইতেছে ৩খ ।া কেন অনাথক কাঠ কাটিবার লোক ডাকিয়া আনা--- আনিলেই একটা টাকf খরচ তো ! পত্রিবধা, বকিতেছে বকুক, কারণ বকুনিই উহার সর্বভাব ! কাঠ নাই দেখিয়া সাশীলা অত্যন্ত চটিয়া গেল। এদিকে বাড়ীতেও এমন কেহ নাই যাহাকে বকিয়া গায়ের ঝাল মিটায়, কাজেই সে আপন মনে চীৎকার করিতে লাগিল-পারবো না, রোজ রোজ এমন করে সংসার করা আমায় দিয়ে হয়ে উঠবে না-আজ দােমাস ধরে বলচি কাঠ নেই-এদিকে রান্নার বেলা ঠিক আছেন সব, তার একটি এদিক-ওদিক হবার যা নেই-কি দিয়ে রাধবে ? হাত-পা উননের মধ্যে দিয়ে রাঁধবে নাকি ? রোজ রোজ কাঠ কাটা, কেটে রাঁধো-অত সখে আর কােজ নেই-থাকলো হাঁড়ী পড়ে, যিনি যখন আসবেন, তিনি তখন করে নেবেন* ** রধিবার কোন আয়োজন সে করিল না। খানিকটা বসিয়া বসিয়া তাহার মনে হইল। ততক্ষণ মশলাগলো বাটিয়া রাখা যাক। সে মাঝে মাঝে কাজের সংবিধার জন্য কয়েকদিনের মশলা একসঙ্গে বাটিয়া রাখিত । বেলা প্ৰায় দশটাব সময় একটি অলপবয়সী ফটফটে বউ, পরনে একখানা পরনো চেলীব কাপড়, হাতে থাকিবার মধ্যে দলগাছি শাঁখা-একটি বাটি হাতে রান্নাঘরের দোরের কাছে ভয়ে ভয়ে উকি মারিয়া বলিল-দিদি আছে নাকি ৈ সশীলা মশলা বাটিতে বাটিতে মািখ তুলিয়া বলিল - আয় আয় ছোট বউ --আয় না ঘরের মধ্যে-ঠাকরান নেই। -- বউটি ঘরে ঢকিয়া বলিল-একি দিদি, এত বেলা হলো, এখনও রান্না 5िgा9न cब ? সশীলা মািখ ঘরোইয়া বলিল-রান্না চড়াব’ ! হাড়ি-কুড়ি ভেঙে ফেলিনি ଏଷ୍ଟି <v5 ।’ বউটির চোখে ভয়ের চিহ্ন পরিস্ফট হইল, সে বলিল-না দিদি, ও-সব কিছ, কোরো না, ভাত চড়িয়ে দাও লক্ষীটি, নইলে জান তো কি রকম লোক नद• • • দেব-দেখবে সব আজ কি-রকম মজা, রোজ রোজ কাঠ কাটবো। আর ভাত রাঁধবো, উঃ ! -কাঠ নেই বঝি ? আচ্ছা, দাখানা দাও দিদি, আমি দিচ্চি কেটে । --তোর কি দায় তুই দিতে যাবি ? বোস, ঠান্ডা হয়ে-যাদের গরজ আছে তারা নিজেরা বঝাঁক গিয়ে ** --তোমার পায়ে পড়ি দিদি, দাও রান্নাটা চড়িয়ে, জান তো। ওরা