পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ミ বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প বিশ্ববাস করা যায় না। আর । বড়ই দঃখের কথা । আপনি আমাদের পরনো ক্যানভাসার বলে আপনার অনেক দোষ সহ্য করেছি। আমরা । কিন্তু এবার আর নয়। আপনি এ মাসের এই ক’দিনের মাইনে নিয়ে যাবেন আপিস খািললে --কমিশনের হিসেবটাও সেই সঙ্গে দেবেন । যান এখন । অবশ্য এত সহজে কৃষ্ণলাল যাইতে রাজী হয় নাই—নত্যগোপালবাবকে সে যথেষ্টই বলিয়াছিল, নিত্যগোপালবাবরে বড়োকান্তাঁকে গিয়া পৰ্যন্ত ধরিয়াছিল। শেষ পয্যন্ত কিছই হইল না । মস্কিল এই, চাকরি যখন যাইবার হয়, তখন তাহাকে কিছতেই ধরিয়া রাখা যায় না। মাতৃত্যুপথযাত্রী মানবের মতই ৩ার গতিপথ নিৰ্ম্মমম, ধরাবাঁধা । সতরাং চাকরি গেল । তখন বেলা আড়াইটা। সকাল হইতে ইহাকে উহাকে ধরাধরির ব্যাপারেই এতক্ষণ সময় কাটিয়াছে, সন্নান-আহার হয় নাই । ২৫২ রামনারায়ণ মিত্রের লেনে ঢকিয়াই যে টিনের চালওয়ালা লক্ষবা দোতলা মাটির ঘর, অর্থাৎ যে মাঠকোঠার ঠিক সামনেই আজকাল কপোরেশনের সাধারণ স্নানাগার নিশ্চিমত হইয়াছে।--তারই পশ্চিম কোণে সতেরো নম্বাবর ঘরে আজ প্রায় এগারো বছর ধরিয়া কৃষ্ণলালের বাসা । কৃষ্ণলাল ঘরে একা থাকে না । ছোট ঘরে তিনটি ময়লা বিছানা মেজের উপর পাতা । সে ঢকিয়া দেখিল ঘরে কেবল য৩ীন শাইয়া ঘামাইতেছে। আর একজন রামমেট ট্রামের কন্ডাকটার, সাড়ে চারটাব পরে সে ডিউটি হইতে ছাটি লইয়া একবার আধঘণ্টার জন্য বাসায় আসে এবং ৩ার পরেই সাজিয়া-গাজিয়া কোথায় বাহির হইয়া যায় । নীচে পাইস হোটেলে ইহাদের খাইবার বন্দোবস্ত । কৃষ্ণলালের সাড়া পাইয়া যতীনের ঘােম ভাঙিয়া গেল । সে বলিল-এত বেলায় ? --বেলায় তা কি হবে ? চাকরিটা গেল। আজ । -সে কি ! এতদিনের চাকরিটা-কত করে বল্লম বড়বাবকে । তা শোনে কি কেউ ? গরীবের কথা কে রাখে বলে ! -छ्न्र्राष्ट्ब्ल ौि > --ক্যাশ জমা দিতে দেবি হয়েছিল । বলে, তুমি ক্যাশ ভেঙেচ । --তাই তো তা হলে এখন উপায় ? —দেখি কোথাও আবার চেপেটা-জটে যাবে একটা না একটা । আমাদের এক দোর বন্ধ হাজার দোর খোলা-আমাদের অন্ন মারে কে । সামান্য কিছ. পয়সা হাতে ছিল-পাইস হোটেল হইতে শােধ, ডাল ভাত খাইয়া আসিয়া কৃষ্ণলাল কিছদ্মক্ষণ বিশ্রাম করিল, পরে নবীন কুন্ডু লেনে একটি খোলার বাড়ীতে ঢকিয়া ডাক দিল-ও গোলাপী-গোলাপী তাহার সাড়ায় যে বাহির হইয়া আসিল, সে বৰ্ত্তমানে রপযৌবনহীনা