পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৪৭

ক্যানভাসার কৃষ্ণলাল SV) প্রৌঢ়া, পরনে আধা-ময়লা খয়েরী রঙের শাড়ী, হাতে গাছকয়েক কাঁচের চুড়ি । দীন-গাছা সোনাবাঁধানো পেটি। মাথার চুলে পাক ধরিয়াছে, গায়ের রং এখনও বেশ ফসfি । গোলাপীকে ত্ৰিশ বৎসর আগে দেখিলে ঠিক বোঝা যাইত গোলাপী কি Tছল এখন আর তাহার কি আছে ? কৃষ্ণলাল তখন সবে ঔষধের ক্যানভাসারেব পদে বাহাল হইয়াছে—তাহাব চমৎকার চেহারা ও কথাবাত্তা বলিবার ভঙ্গিতে রেলগাড়ীর প্যাসেঞ্জাব কি করিয়া সহজেই ভুলিয়া যাইত-জলের মত পয়সা ऊनिऊ व्लाकोनि । এই নবীন কুন্ডু লেনেই অন্য এক বাড়ী৩ে এক বন্ধাের সহিত আসিয়া সে গোলাপীকে দেখে। তখন নতুন যৌবন, হাতেও কাঁচা পয়সা । গোলাপীর তখন বয়স ষোলো-সতেরো । বপ দেখিয়া রাস্তার লোক চমকিয়া দাঁড়াইয়া যায়। গোলাপীর মা'র হাতে বছরে বছরে মোটা টাকা জমে । কৃষ্ণলাল সেই হইতেই নবীন কুন্ডু লেনের নৈশ অধিবাসী। কত কালেব কথা-গোলাপীর ঘরে মেহগনি কাঠের দেরাজ হইল, ঘবেব দেওয়ালে বিলম্পিবত বড় বিলাতি কাঁচ বসানো আয়না হইল, সেকালে প্রচলি ৩ ম্যাকাসাব অয়েলের শিশির পর ।।শশি ভিড় জমাইয়া তুলিল-বাতায়ন মালতী ফলের টবে সক্তিজত হইযা বাড়ীর অন্যান্য ঘবেব অধিবাসীদের মনে ঈষরি উদ্রেক করিল। কাঁচা পয়সা কৃষ্ণলালেব হাতে। প্রতিদিনের আয় তিন টাকা, আড়াই টাকার নীচে নযা । একদিন গোলাপীর ম” অভিমানের সরে বলিল —যাই বলো বাপ, গোলাপী আমায় প্রায়ই বলে, একখানা বাড়ী তাল নিজের না হলে চলে না। আর—তা তেমন কপাল কি -এই এক বাড়ীতে ছত্ৰিশ জানার সঙ্গে - —কেন মা ? তাব ভাবনা কি ? কালই ঘব দেখে দিচ্চি - —কত টাকা ভাড়ার মধ্যে হবে বলো—এই আমাদের পাডাতেই আছে-- —যা তুমি বলবে । কৃড়ি কি পাঁচিশ-ত্রিশ টাকায় একখানা ভালো বাড়ী এ পাড়াতেই আছে- তা হলে তাই • श्:- -হ্যাঁ হ্যাঁ-এ আবার আমায় জিজ্ঞেস করতে হয় মা ? গোলাপীবা নতুন বাড়ীতে উঠিয়া আসিল। বড় পাঁচী বলিল-ওগো, একটি রয়ে সয়ে নিস-দেখিস যেন আবার দড়ি না ছেড়ে-খাব বরাত তোর যাহােক গোলাপী। আর আমাদের ওই বড়ো রায়বাব বোজ আসেন। আর বাধানো দাঁত জলের গেলাসে খালে বাখেন-কদিন বল্লাম একখানা ঢাকাই শাড়ী, আর একটা বাজা-ঘড়ি দাও দেওয়ালে টাঙানোর, তা বড়ো আজ সাতমাস ঘর চেচ্চ-আজ এলে হয় একবার-ওর দাঁত খালে জলের গেলাসে ডুবিয়ে রাখা বের করে দেবো।-- শধ বাড়ী ? গোলাপীর টেবিল হারমোনিয়ম হইল, জোড়া জোড়া শাড়ী, চেয়ার, এমন কি শেষে কলের গান পৰ্যন্ত । কোন সখি গোলাপীর বাকি