পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৫০

8曾 বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প দিনকতক-সে। সাধ আমার কাছে অনেকদিন থেকেই । আচ্ছা তাহলে এখন আসি, ওবেলা হয়তো আসবে। --সন্ধ্যের পর । তাহার পর এক মাস কাটিয়া যায়। কিন্তু গোলাপীর বাড়ী কৃষ্ণলাল আর আসিল না । সখের দিনে গোলাপীকে সে অনেক দিয়াছে-এখন দঃখের দিনে বসিয়া গোলাপীর অন্ন ধবংস করিবে তেমন বংশে জন্ম নয় কৃষ্ণলালেব । বিশেষত দেখিতে হইবে, গোলাপীও প্রৌঢ়া-ঝি-গিরি ভিড়া এখন তার কোনো छेश्श नाझे । মেসের ভাড়া বাকি পড়িয়াছিল। দ’মাসের, মেসের অধ্যক্ষ কৃষ্ণলালকে বলিল--কি কৃষ্ণবাব, আমাদের রেন্টটা কি হবে । --আজ্ঞে ক্ষেত্রবাব, দেখতেই তো পাচ্ছেন-চাকরিটা গেল, হা৩ে কিছ. নেই। এ অবস্থায় -ফি-মাসে আমি পকেট থেকে ঘরভাড়া যোগাবো কোথা থেকে সেটাও তো দেখতে হবে ? দীদিন সময় দিন-তারপর আপনি দয়া করে সিট ছেড়ে দিন, আমি অন্য ব্যবস্থা দেখি । কৃষ্ণলাল পড়িল মহা বিপদে । একে খাইবার পয়সা নাই।--তাহার উপর মাথা গজিবার যে জায়গাটিকু ছিল, তাহাও তো আর থাকে না । তিন দিন কাটিয়া গেল, দ্য-একটি পািৰব পরিচিত বন্ধর নিকট হইতে চাহিয়া-চিন্তিয়া দ-চার আনা ধার লইয়া পাইস হোটেলের ডাল ভাতে কোনোরকমে ক্ষধানিবত্তি করিয়া এই তিনদিন কাটাইল । কিন্তু তিনদিন পরে তাহার সত্যই অনাহার শর হইল। দ’পয়সার ছাতু বা মাড়ি সারাদিন-শািধ, ছাতু, একটা গড় বা চিনি জোটে না তাহার সঙ্গে । তাহার পর পেট পরিয়া জল, কলের নিশ্চমল জলে । মেসের ম্যানেজার আবার ডাক দিলেন। বলিলেন--কিছ হলো ? --আজ্ঞে এখনো—এই ভাবচি-আমার লোক এসে গিয়েচে-কাল মাসের পয়লা। দ’মাসের ভাড়া পকেট থেকে দিয়েচি-এ মাসেও দিতে হবে । আমিও ছা-পোষা মানষে মশাই SumitaBot (আলাপ)াকত লোকসান হজম করি বলান ? আপনি জিনিসপত্তর নিয়ে চলে যান--- আমার ভাড়ার দরকার নেই । খাটখানা রেখে যাবেন মেসে । পরদিন সকালেই জিনিসপত্র সমেত ( একটি টিনের ট্রাণ্ডক ও একটি ময়লা বিছানা ) কৃষ্ণলালকে পথে দাঁড়াইতে হইল । বিষাকাল । জিনিসপত্র রাখিবার মত জায়গা কোথায় পাওয়া যায় ? গোলাপী অনেকবার মেসে খবর লইয়াছে -মধ্যে একদিন দ’ঘণ্টা মেসের বাইরে ফটপাতে বসিয়াছিল। তাহার অপেক্ষায় -( কারণ ম্যানেজার তাহাকে চেনে, মেসে কুচরিত্রা স্ত্রীলোক ঢাকিতে দিবে না। ) কৃষ্ণলাল দরি হইতে দেখিয়া সরিয়া পড়িয়াছিল। এখন গোলাপীর বাড়ী গেলে সে কান্নাকাটি করবে, আটকাইয়া রাখিতে চাহিবে । নতুবা সেখানে জিনিসপত্র রাখা চলিত । মেস হইতে কিছর দরে বড় রাস্তার উপর একটা চায়ের দোকানের মালিকের