পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রবময়ীর কাশীবাস দদিন থেকে জিনিসপত্র গছানো চললো। পাড়ার মধ্যে আছে মাত্র তিন ঘর প্রতিবেশী-কারো সঙ্গে কারো কথাবাত্তা নেই। পাড়ার চারিধারে বনজঙ্গল, পিটলি গাছ, তেতুল গাছ, বাঁশঝাড়, বহ। পােরনো আম-কাঁঠালের বাগান। দুব ঠাকরণের বাড়ীর চারিধারে বনে বনে নিবিড়, সয্যের আলো কস্মিনকালে ঢোকে না, তার ওপর বাড়ীর সামনে একটা ডোবা, বিষবি জলে টাইটাবর দিনরাত “যাঁওকো।” “যাঁওকো’ ব্যাঙের একঘেয়ে ডাক, দিনে রাতে মশার বিনবিননি । দ্রব ঠাকরণের নাতি বল্লে-ঠাকমা, সাব আছে। ঘরে, না বাজার থেকে আনবো ? দুব ঠাকরণের কন্ঠস্বর অতি ক্ষীণ শোনাল, কারণ আজ দ'মাস কাল DDB DDDDBBBD DBBDYS0DBBS DD BDB DBDB DB DDB একদিন অন্তর অন্তর ঠিক বিকেল বেলাটিতে । দ্রব ঠাকরণ পরনো কাঁথা লেপ চাপা দিয়ে পড়বেন, উঃ আঃ করবেন-জবরের ধমকে ভুল বকবেন । ও-বাড়ীর ন’ঠাকরণ এসে জিজ্ঞেস করবে। জানালার কাছে দাঁড়িয়ে-বলি ও দিদি, অমন করচ, কেন ? জবর এল নাকি ? —আর ন’বেী । ম’লেই বাঁচি । নিত্য জবার, নিত্য জবর-ওরে মা রে, হাতপা কি কামড়ানটা কামড়াচে ! একটি উঠে হেটে বেড়াতে দেবে না-এ কি কাশড, হ্যা গা ? পরে মিনতির সরে বলবেন—ও ন'বোঁ, লক্ষী দিদি, শীত তো আজ ভাঙলো না, কাঁথা গায়ে দিইচি, নেপ গায়ে দিইচি-তুমি ওই বাঁশের আলনায় পরনো তোশকটা পেড়ে আমার গায়ে দিয়ে দ্যাও— -চেপে ধরবো, হ্যাঁ দিদি ? —ধ-রো ন-বৌ-চেপে ধা-রো-আমার হা-য়ে গেল ! —ভয় কি, অমন ক’রো না, ছিঃ ! টেব, আসবে চিঠি পেলেই, কান, আসবে, বিন্দে আসবে-তোমার নাতিরা বেচে থাক, অমন সোনার চাঁদ নাতি সব, ভাবনা কি তোমার দিদি ? -কে-উ-অা-মা-কে-দে-খে-না-না-বৌ- —কেন দেখবে না দিদি-সবাই দেখবে। তুমি বেশি বোকো না চুপটি করে শয়ে থাকো -আমার গো-র ; গো-র উ-ত্ত-র-মা-ঠে— -কোথায় গোর দিয়ে এসেছিলে ? -জ-টে। গা-য়-লা-র অ-ডু-ল ক্ষে-তে-র পাশে--- -আচ্ছা আমি এনে দেবো এখন গোর। আমারও গোর রয়েছে জটে গোয়ালার জমির কাছেই । তুমি শায়ে থাকো । আরও ঘণ্টাখানেক পরে বন্ধ নঠাকরণ আবার এসে জানলায় দাঁড়িয়ে