পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6bፉ বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প -कन् ä, कन्न : ९३-वळला ऊ-ও-বেলার নেব ও-বেলা ফরিয়েচে, এ-বেলা একটা দরকার-মা বল্লে-আচ্ছা, আয় উঠে বোস একটবালিকাটি অনিচ্ছাসত্ত্বেও এসে বসে। নয়তো নেব পাওয়া যায় না। বাড়ীর কাছে বসতে তার ইচ্ছে হয় না, তার সমবয়সী বালিকারা রায়পাড়ার পকুরধারে এতক্ষণ ফািল-তোলাতুলি খেলা আরম্ভ করে দিয়েচ-তার প্রাণ রয়েচে সেখানে পড়ে। কিন্তু দ্রব ঠাকরণের নিঃসঙ্গ মন যাকে হয় অাঁকড়ে ধরতে চায়। এই নিজজন বৈকাল বেলাটিতে-তবও দটো কথা বলবার লোক তো বটে । দ্রব ঠাকরণ আপন মনেই বকে চলেচেন, নাতবোয়ের মন্দ ব্যবহারের কথা, নাতির ছেলে খোকনের অলৌকিক গণাবলী, ছোট নাতি পরেশ তাঁকে কি রকম ভালবাসে-এই ধরনের নানা কথা শািনতে শািনতে ক্ষদ্র শ্রোতাটির হাই ওঠে, সে কারণ স্বরে বলে-ঠাকমা, মা সাব, চড়িয়ে আমায় বল্লে, নেব, নিয়ে আয়, বেলা গেল । -হ্যাঁ হচ্চে হচ্চে-তারপর শোনা না--মা বকিবে-নেব, নইলে সাব খেতে পারবে না-আচ্ছা, শোন-তারপর খোকনামণি সেই পেয়ারা তো খাবেই, কিছতেই ছাড়ে না-ওর মাও-দেবে না-বন্ড হেজলদাগড়া মেয়ে ওর মা, আমি বলি, বেী, চাচে খেতে, এক টুকরো ওকে দ্যাও-তা আমায় বললে--আপনি চুপ করে থাকুন, আপনি কি বোঝেন ছেলেমেয়ে মানষ করার-একালের মাও অন্য রকম, আপনাদের সেকাল গিয়েচে । --আমি জানিনে ছেলেমেয়ে মানষ করতে-তবে তুই তোর বর পেলি কোথা থেকে রে আবাগের বেটি ? -আমি এবার যাই ঠাকমা-নেব একটা-আচ্ছা তা যা নিয়ে একটা নেব-শািনলি তো সব কাপড়খানা ? দিদিশাশড়ী বড় মন্দ এমন সময়ে বাড়ীর বাইরে একখানা গোেরর গাড়ীর শব্দ শোনা গেল । খাকী কৌতুহলে। চেয়ে বড় বড় চোখ করে বল্লে-ও ঠাকমা, কে যেন এল গাড়ী করে-তোমার ওই তুতি-তলায় গাড়ী দাঁড়ালো— বলতে বলতে দ্রব ঠাকরণের মেজ নাতি নীরদচন্দ্র দটি ভারী মোট দ’হাতে ঝালিয়ে বাড়ী ঢকে ডাক দিলে-ও ঠাকমা দ্রুব ধড়মড় করে উঠে দাঁড়িয়ে একগাল হেসে বল্লেন-কান ? আয়, আয় छाशे-ऊाला ७ाछिन ? কান এসে মোট নামিয়ে পিতামহীকে প্ৰণাম করলে, বালিকাটির দিকে চেয়ে বল্লে-এ হীরকাকার মেয়ে কনক না ? ওঃ কত বড় হয়ে গিয়েছে-ভালো আছিস কনকী ? নে দাঁড়া-একখানা গজা নিয়ে যা পাটলি খালে মেয়েটির হাতে একখানা বড় গজা দিতে সে নিঃশব্দ হাসিমখে হাত পেতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল, বড় মোটটার মধ্যে আরও কি কি