পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রুবময়ীর কাশীবাস --ও আমার বিয়ের পরে শবেশরিবাড়ী থেকে দিয়েছিল--তিনি হাতে করে দিয়েছিলেন —সেই হার তুমি দিয়ে দিলে বেচে ? --দিদি, সংসার অনিত্য, সবই অনিত্য । কে কার সবামী, কে কার স্ত্রী ! সবই ভগবানের মায়া। মায়ায় সব ভুলে থাকা-গরই কেবল নিত্যবস্তু --তা তো বটে । এ মাগীর সব সময় বড় বড় কথা। দিগে যা তোর সব কিছ গােরর পাদপদ্মে বিলিয়ে,--তাঁর কি ? বিয়ের পরে সবামী নিজের হাতে যে হারছড়া দিয়েছিল, তা কোনো মেয়েমানষে এভাবে ঘাঁচিয়ে দিতে পারে ? গভীর রাত পয্যন্ত শািন্ধ এই কথাটাই বার বার তাঁর মনে পড়ে । সে সব দিন ঝাপসা হয়ে গিয়েচে, মনের আকাশ বিসমিতির মেঘে ঢাকা। ওই গোপীনাথপরের ভিটে আমন ছিল কি তখন ? ফলশয্যার রাত । হঠাৎ মনে পড়ে যায়, গত আষাঢ় মাসের প্রথমে উত্তর দিকের ভাঙা পাঁচিলের গায়ে এতটকু একটা শস্যাগাছ নতুন বিষরি জল পেয়ে গজিয়েচে দেখে তিনি শকিনো কণিঃ কুড়িয়ে একটা মাচা বেধে দিয়েছিলেন-এতদিনে গাছ বড় হয়েচে, কত শসার জালি পড়েছে। গাছটাতে । কে খাচ্ছে সে বনের মধ্যে ? হয়তো কনকী আসে লেম, তুলতে-এক গাছ লেব, রেখে এসেছিলেন। সেই-- হয়তো শসা পেড়ে নিয়ে যায়-কে জানে ? হঠাৎ কি একটা কুস্বরে দুব ঠাকরণ চমকে ওঠেন । নীরজার ঘর থেকে শব্দটা আসচে । মাগী এত রাত্রে করে কি ? হাঁস হব্স করে অত জোরে দীঘনিঃশবাস ফেলচে কেন ? ঘামের ঘোরে মািখ চাপা লাগলো নাকি ? দুব ঠাকরণ ডাকলেন-শনচো-ওগো-কি হয়েচে ? ওগো নীরজা বল্লেন-ডাকিচেন কেন দিদি ? --বলি ও শব্দটা কিসের ? -কুম্ভকের রেচক-পরিক অভ্যোস করাচি-অনেক রাত ভিন্ন হয় না। কিনা, -ঠাকুর তাই বলে গেলেন । সে আবার কি রে বাবা ! মাগী তো ঘামাতেও দ্যায় না। রাত্তিরে । দ্রব ঠাকরণ বল্লেন-যাক গো-ঘামের ঘোরে মািখ-চাপা হয়নি তো ? --না দিদি-ঘামাইনি এখনও । ঘািমলে যোগের ব্রুিয়া হয় না। জীবনটা যদি ঘামিয়েই কাটাবো, তবে পরকালের কাজ করবো কখন ? --তা বেশ, বেশ । --দিদি-ঘামালেন ? --না, কেন ? --নিবিকল্প সমাধি না হওয়া পয্যন্ত আমার মনে শান্তি পাচি নে, পাবোও না । দেহ কি জন্যে দিদি ? ঘািমবার জন্যে নয়, আরামের জন্যে নয়শাধ নিজের কাজ করে যাওয়ার জন্যে। দিন কিনে নাও, শািন্ধ দিন কিনে নাও বিভতি শ্রেষ্ঠ গল্প-৫