পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@क)ि अभ१-काश्र्निी আপিসে পানের আর জমিদার কোঁটো দই-ই ফেলে এসেছেন গোপীকৃষ্ণবাব । বৌবাজারের মোড়ে এসে মনে পড়লো। ছাতিটা আজ আবার আনেন নি, বশিষ্ট হবে না। ধারণা ছিল, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ছাতি না এনে ভুল করেছেন, মেঘ জমে আছে সেন্ট্রাল এভেনিউর বড় বড় বাড়ীগলোর মাথায় ৷ পানের কোঁটো ফেলা চলে না, টেবিল থেকে কে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। আবার আপিসে ফিরলেন, ইনচাস্তজ বাব তখনও কাজ করছেন একমনে, অথচ কেউ নেই ডিপার্টমেগেট, খোেশামদে কোথাকার, মরকে খেটে ! দেড়শো টাকা মাইনের মত কাজ দেখানো চাই তো সাহেবদের, নইলে যদি তাড়িয়ে দেয় ? দিনকাল ভাল না । তাঁদের যে পঞ্চাশটি টাকা সেই পঞ্চাশটি টাকা। কেউ নেবে না, কেউ বাড়তি দেবেও না । এই যন্ধের বাজার । চালানো যে কত দায় হয়ে উঠেছে, সে বোঝে যে চালায়। পঞ্চাশটি টাকা মাইনে, একপয়সা উপরি নেই। ওভারটাইম খাটলে একটাকা। দৈনিক পাওয়া যায় বটে, কিন্তু ওভারটাইম ক'দিন হয় মাসে ? আপিস থেকে রেশন দেয়। তাই রক্ষে, নইলে না খেয়ে মরতে হতো সপরিবারে । খিদে পেয়েছে বড়। মোড়ের এই দোকানখানায় এবার পানের কোঁটাে নিতে আসবার সময় দেখে এসেছেন বেশ বড় বড় কচুরী ভাজছে । নিশ্চয় চার পয়সায় একখানা। খেতে ইচ্ছে তো হয়, পয়সায় কুলোয় কই ? একটা দোকানে বসে আধ পেয়ালা চা দ্য পয়সা দিয়ে কিনে খেয়ে একটা বিড়ি ধরিয়েই আপাতত খিদের শান্তি করলেন গোপীকৃষ্ণবাব । পাশেই ওই লাল বাড়ীটা তখন মেস ছিল, পঞ্চাশের দই। ধন্বন্তরি বোসের লেন। গোপীকৃষ্ণবাব মনে মনে হিসেব করলেন । তেত্ৰিশ বছর আগের কথা । বঙ্গবাসী কলেজে থার্ড ইয়ারে পড়েন। উনি তখন। সে-সব দিনের কথা-হায়রে হয়, সেই বিপিন, কান, বিনোদবাবা, শীল, মতি, ক্যাঙলা, ট্যারা শৰ্ম্মভু, সংশোভন মিত্তির, কত বন্ধত্ব, কত গলাগলি, কত ভাবের আদান-প্রদান ! কত বড় বড় আশা ছিল মনে, বোফেবতে গিয়ে চাকরি করবো, দেশের সঙ্গে সম্পক রাখবো না, সাহেব হয়ে যাবো, এমন কী পাশ মেয়েকে বিয়ে করবো। পাশী মেয়েকে বিয়ে করবার বড় সখা ছিল তখন, কে জানে কেন ! প্রথম যৌবনের নেশায় ইডেন গাডেনে দ-চারটি সন্দরী পাশী তরুণীকে বেড়াতে দেখবার ফলেই বোধ হয়। আর একটা বড় সখা ছিল, বিলেতে যাবার। সেটা আবশ্যি তখনই একটি দরিাশার মতই ছিল, তবও নিতান্ত দরাশা ছিল না। সম্মখে বিস্তৃত জীবন পড়ে আছে। কেন হবে না, হলেও তো হতে পারে। এখন কিন্তু তার আকাশকুসমত্ব যতটা ফটে বেরিয়েছে তখন ততটা হয়নি । ট্যারা শিম্ভু (শৰ্ম্মভু চক্রবত্তী এম বি-হােমিও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত, বিনামল্যে সমাগত দরিদ্র রোগীগণের চিকিৎসা করেন ) বৌবাজারের মোড়ে একটা ছোট ঘরে ডিসপেনসারী ফেদে বসে আছেন। আজ বহল বৎসর-বিশেষ কিছ হয় दी भन्म ठूझ क्रा ! বিভতি শ্রেষ্ঠ গল্প-৬