পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उभिका c পারেন, এই পর্যন্ত। বিভতিবাব ইচ্ছা করিয়া আধনিকতাকে প্রচ্ছন্ন করেন নাই, আবার উগ্রভাবে প্রকট কারিয়াও তোলেন নাই, শিলে,পর ইন্দুধনার সাতরঙের সঙ্গে সকৌশলে মিশাইয়া দিয়াছেন। এই কারণে তাহা অনেকের চোখ এড়াইয়া যায়। বণন্ধি ব্যক্তির মতো কাব্যান্ধ ব্যক্তিও সংসারে বিরল নয়। চোখের দোষের জন্য বস্তুকে দোষী করা কি ন্যায়সঙ্গত ? বিভতিবাব যে আর-দশজন শক্তিশালী বাঙালী লেখকের মতোই আধনিক, সবকাল ও সবসমাজের লক্ষণের অধীন, এতক্ষণ ইহাই প্রমাণ করিতে চেন্টা করিলাম। এবার সেই লক্ষণের বিশেষ রােপ কি, দেখাইতে চেন্টা করিব।

  • Փ

সাহিত্যে প্রকৃতির দটি রােপ দেখিতে পাই। একটি মানষের প্রতিকল ও প্রতিস্পধাঁ, সে মানববিচ্ছিন্ন, সর্বতন্ত্র, আপনি নিয়মে ও আপন প্রাণশক্তিতে পােণ ও চালিত ; আর-একটি মানয়ের অনকােল, ও সর্বদা মানষের কাছে ধরা দিতে প্রস্তুত, সে ক্ষণে ক্ষণে মানবসমাজের সঙ্গে মিশিয়া গিয়া মানষেকে বিচিত্ৰতর ও সন্দরতর করিয়া তুলিয়াছে। প্রথমটির রােপ দেখিতে পাই হাডির Egdon Heath-q ggt RC613 Toilers of the Sea-g JNC ; fąNOff রােপ বিভিন্ন মহাকবির কাব্যে দশ্যমান। ওয়াড সাবাথের কাব্যে, কালিদাসের শকুন্তলা ও অন্যান্য কাব্যে, রবীন্দ্রনাথে, শেলি প্রভৃতির কাব্যে প্রকৃতি মানষের অনাকাল ও অনষঙ্গী। অবশ্য কবির সর্বভাব অনসারে এবং কালের রচি অনসারে তাহাতে বৈচিত্র্যের অভাব নাই। ওয়ার্ডসবাথে পাই অধ্যাত্ম মহিমা, মানষি ও প্রকৃতি যেন একই সাধনপন্হার সাধক ও উত্তরসাধক ; রবীন্দ্রনাথে “বরষার রােপ হেরি মানবের মাঝে” । একটি বিষয় লক্ষ্য করিবার মতো । ষাঁহারাই মানষি ও প্রকৃতিতে একসত্রে দেখিয়াছেন ও গাঁথিয়াছেন। সকলেই কবি । বঙ্কিমচন্দ্রেও এই কবিপ্ৰাণতা লক্ষ্য করিবার মতো। বিভতিভীষণও মলত কবি । বিভতিভষণেব উপন্যাসেও প্রকৃতি ও মানষেকে একসত্রে গ্রথিত । তাঁহার সব জনপরিচিত অপ, ‘অর্ধেক মানব তুমি অধোক প্রকৃতি’ । কিন্তু এটি কেবল অপাের লক্ষণ নয়, বিভতিবাবার সমস্ত রচনারই সাধারণ লক্ষণ। তব, ওরই মধ্যে একটি প্রভেদ ও একটি বিবতনের বেগ লক্ষ্য করা যায়। তাঁহার প্রথমজীবনের উপন্যাসে মানবকে নিসগায়িত ও নিসগকে মানবায়িত করিয়া ফেলা হইয়াছে। কিন্তু এ প্রকৃতি পল্লী-প্রকৃতি। বাংলাদেশের পল্লীতে প্রকৃতির যে রােপ দেখা যায় তাহা রদ্র নয়, ভীম নয়, তাহা স্নিগ্ধ ও শান্ত। তাহা আমাদিগকে মগধ করে, অভিভত করে না। পল্লীবালক আপ ও পল্লীপ্রকৃতি যেন পরস্পরের খেলার সাথী, যেন পরস্পরের পরিপািরক । তাঁহার পরবতী কালের গ্রন্হে, যেমন ‘আরণ্যকে’ ও ‘হে অরণ্য কথা কও’ গ্রন্হে, প্রকৃতির রােপ ভিন্ন। বস্তুগত ভাবে সে প্রকৃতি পাহাড়পবীত অরণ্যমালা ও রক্ষে বন্ধর ভাখণ্ড। কিন্তু এখানেও দেখি একটি পরিবতন সাধিত