পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প খাবো একলা যেতে ভয় করে । হাব, অমনি চোখ পাকিয়ে বলে-তবে একলা এলি কি করে ? কে এখন তোর সঙ্গে যাবে পৌঁছে দিতে ? উঃ, ভারি পাজি মেয়ে নস আমায় আগে আগে বাড়ী পৌছে দিতে আসতো, ধলোমাটির পথের ধারে কত কোঁচোর মাটি, কত বেনে-বেী গাছে গাছে, পাকা বকুল পড়ে থাকতো বকুল তলায়। নস্যকে পাকা বকুল খাওয়াতে ইচ্ছে করতো, আমি বস্তু ভালোবাসি পাকা বকুল। নসমোমাকে কুড়িয়ে খাওয়াতে ইচ্ছে করে । কিন্তু সে বলতো-দর, ও কষা-কন্যা লাগে। তুই খা, আমি খাবো না। নসকে খেতে দিয়ে যেন আমার তৃপ্তি, সে সযোগ ও আমায় দিত কই। এইভাবে সারা শৈশব ও বাল্যকাল কেটে গেল সেই আমার ছেলেবেলাকার অতিপরিচিত মামার বাড়ীর গ্রামের গাছপালার ছায়ায় ছায়ায়, চৈত্র মাসের পাখী-ডাকা শীতল সকালবেলাকার মাত । তারপরেই জীবনের রোদ খরতর হয়ে উঠলো ক্রমশ । ফল-ফোটা পাখী-ডাকা বসন্তপ্রভাত গেল ধীরে ধীরে মিলিয়ে । বাতাস গরম হয়ে উঠলো । সেই গাঁ, সেই তাঘরা শেখ হাটি এখনও আছে । মাঝে মাঝে এখনও সেখানে যাই, কত বদলে গিয়েছে সে জায়গা । সে মামারা বাড়ী নেই, সে দিদিমাও নেই । বাবা কোথায় কাদের আড়তে কাজ করতেন । সামান্য ক’টি টাকা মাইনে পেতেন, দিদিমার সঙ্গে সংসারের খবচপত্র নিয়ে তাঁর প্রায়ই ঝগড়া-তক হোত । বাবা রাগ করে চলে যেতেন বাড়ী থেকে, দ-একমাস কোন খবর আসতো না, মা কান্নাকাটি করতেন, হঠাৎ বাবা একদিন এসে হাজির হোতেন । দিন এভাবেই Ĝivoj তেরো বছর বয়সে আমার বিয়ে হলো আড়ংঘাটার কাছে এক গ্রামে। বিয়ের দিনকতক আগে নসদের বাড়ী গিয়েছিলাম। নসর মার শরীর খারাপ, নস রান্নাঘরে ভাত রাঁধচে । উনানের অাঁচে ওর ফস মাখ রাঙা হয়ে গিয়েচে । ওদের বাড়ীর কোন বিলিব্যবস্থা নেই। অনেকগলো ভাই নসাের, তারা কেউ বাইরে পড়ে, কেউ কাজ করে । নসর মার শরীর চিররগণ, সংসারের রান্নাবান্নার ভার নসমোমার ওপর । আজ অনেকদিন থেকেই নসর এই অবস্থা দেখছি । নসাের অবস্থা দেখে সত্যিই কম্পট হলো। নসর মাখের দিকে চাইবার কেউ নেই, ভাইয়েরা সব সাবাথ পর, সংসার চালানোর ভার ওর ওপর ফেলে দিয়ে সবাই তারা নিশিচন্ত হয়ে আছে। নসমোমা আমায় দেখে হেসে বল্লে-আয় পাঁচী, বোস। কাল দই পেতেছিলাম, দইটা বসেনি। উনানের পাড়ে রেখে দেবো, কি বলিস ? যত সব মেয়েলি গলপ নসর। সাধে কি ওকে সকলে বলে জনান্দন মািখয্যের বিধবা মেয়ে ? আমাকে বল্লে-কাল বঝলি, এক কাঠা মাগের ডাল ভাজলাম, ভাঙলাম।