পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদু-পোড়া শ্লেষের সুরে বললে—তবু ভালো। তবুও যদি কােপালী-বোঁ বাধা দিয়ে না থামিয়ে দিলে যদু-পোড়া একটা কি অঙ্গীল কথার দিকে ঝুকেছিল। থামিয়ে দিয়ে নীরস রুক্ষসুরে বললে-কই চাল ? -আছে রে আছে --না, দেখি আগে । কত কটি ? -আধা পালি। তাই কত কষ্টে যোগাড় করা। শুধু তোকে কথা দিইচি বলে । -কে তোমার কাছে কথা পেড়েছিল আগে ? আমার কাছে তুমি কখন কথা দিইছিলে ? বাজে কথা কেন বলে । আমি দেরি করতে পারবো নাসন্দে হয়ে গিয়ে চে-দেখি চল আগে-তোমাকে আমার বিশ্বাস নেই যদু-পোড়া নিজের সততার প্রতি এ রূঢ় মন্তব্যে হঠাৎ বড় অবাক হয়ে উঠে কি একটা প্ৰতিবাদ করতে যাচ্ছিল, কােপালী-বে। আবার ধমক দিয়ে বলে উঠলো-আমি চলে যাচ্ছি। কিন্তু। সারারাত এ শিমুল তলায় তোমার মত শ্মশানের পোড়া কাঠের সঙ্গে দাড়িয়ে থাকতি হবে নাকি ? চললাম। আমি যদু-পোড়া ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে বললে-শোন, শোনা যাস নে— বাবাঃ এ দেখচি ঘোড়ায় জিন দিয়ে-আচ্ছ। আচ্ছা—এই দ্যাথ চাল—এই ধামাতে-এই যেবাপ রে কি তেজ ! কােপালী-বেী সদৰ্পে বললে-চুপ! -আচ্ছা, আচ্ছা, কিছু বলচি নে—তাই বলচি যে কাপালী-বেী আধঘণ্টা পরে ইটখোলা থেকে বেরুলো, আঁচলে আধা পালি চাল । পেছনে পেছনে আসছে যদু-পোড়া। অন্ধকার পথের দু’ধারে আশ সেওড়া বনে জোনাকী জলচে । কাপালী-বেী তিরস্কারের সুরে বললে-পেছনে পেছনে কোন যমের বাড়ী अामgbा ? r' --তোকে একটু এগিয়ে দি --ঢের হয়েচে । ফিরে যাও-অন্ধকারে যাবি কি করে ? --তোমার সে দরদে কাজ নেই-চলে যাও