পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পটল নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে বেড়া বঁধা রেখে উঠে এল । অনঙ্গ স্বামীকে বললে-ওগো, একবার হরিহরের হাটে যাও না ? ーの卒不? -একবার দেখে এসে নতুন গুড় উঠলো। কিনা। -সে তুমি ভেবো না, আমার গুড় কিনতে হবে না। এখান থেকেই পাওয়া যাবে। সবাই ভক্তি কবে । বাইরে থেকে কে ডাকলে-চক্কত্তি মশায়, বাড়ী আছেন ? DBDB DDDBDYDBD S S BBBDD DDCSS আগন্তুক ম্যালেরিয়া রোগী, তার চেহারা দেখেই তা বোঝা যায়। গঙ্গাচরণ বাড়ীর বাইরে আসতেই সে নিজের ডান হাতখানা বাড়িয়ে দিয়ে বললেএকবার হাতখানা দেখুন তো ? গঙ্গাচরণ ধীরভাবে বললে-অমন ক’রে হাত দেখে না । বসো, ঠাণ্ডা হও । হেঁটে এসেচ, নাভী চঞ্চল হবে যে । বাপু, এ কোদাল কোপানো নয়। এসব ভাক্তারী-বন্দির কাজ, বডড ঠাণ্ডা মাথায় করতে হয়। কাল কেমন ছিলে ? --রাত্ৰিতে জ্বর-জার ভাব, শরীর যেন ভারি পাথর --কি খেয়েছিলে ? --দুটো ভাত খেয়েছিলাম চক্কত্তি মশাই, আর কি খাবো বলুন, তা ভাত মুখে ভালো লাগলো না। --যা ভেবেচি তাই । ভাত খেলে কি বলে ? জিম্বর সারবে কি করে ? -डाद्र <दा क्रा । -সে তো বুঝলাম-যা খেয়ে ফেলেচ, তার ঠ্যাল এখন সামলাবে কে ? বসো, দুটো বড়ি নিয়ে যাও-শিউলি পাতার রস আর মধু দিয়ে খেও, দ্যাখো 62 ९८ → ওষুধ নিয়ে রামলাল চলে যাচ্ছিল, গঙ্গাচরণ ডেকে বললে-ওহে রামলাল, ভালো কথা, এবার নতুন সর্ষে হয়েছে ক্ষেতে ? দু’কাঠা পাঠিয়ে দিও তো । আমি বাজারের তেল খাইনে বাপু, সর্ষে দিয়ে কলুবাড়ী থেকে ভাঙিয়ে নিই। --যে আজ্ঞে। আমার ছেলে ওবেলা দিয়ে যাবে’খন। তেমন সর্ষে এবার হয়নি চক্কত্তি মশাই। বিষ্টি হওয়াতে সর্ষে গাছে পোকা ধরে গেল কাতিক মাসে। রামলালকে বিদায় দিয়ে গঙ্গাচরণ সগৰ্বে স্ত্রীর কাছে বললে-ফলল। তো ? যাকে যা বলবো, না বলুক দিকি কেউ ? সে যো নেই কারো।