পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ী ফিরবার পথে নসরাপুরের বিলের ধারে একটা দোকান। বেলা পড়ে এসেচে। দোকানীকে তামাক খেতে দেখে গঙ্গাচরণ দোকানে গিয়ে উঠে বললে-তামাক খাওয়াও দিকি একবাব দোকানী বললে--আপনারা ? as --পেরিণাম হই । 一邸1 দোকানী উঠে গিয়ে একটা কলার পাতা নিয়ে এসে ঠোঙা করে কন্ধে বসিয়ে গঙ্গাচরণের হাতে দিলে। বললে-আপনার নিবাস ? —নতুন পাড়া, চর পোলত । -গিয়েছিলেন কোথায় ? --নিবারণের বাড়ী, ও গায়ের নিবারণ ঘোষ । -হঁ্যা বাপু । --ঢেকে রাখুন। এসব দিকে বড় আকাল। এখুনি এসে ঘ্যান ঘ্যান করবে। সবাই । গঙ্গাচরণ বসে থাকতে তিন-চারটি দুলে বাগদি জাতীয় স্ত্রীলোক এসে আচলে বেঁধে কলাই নিয়ে গেল। একজন নিয়ে গেল অপকৃষ্ট পাতা চা ও একটা ছোট পাথরবাটিতে একবাটি গুড় । দোকানী বললে-বসুন্ন ঠাকুরমশায় -না বাপু, আমি যাবে অনেক দূব, উঠি । -না, একটু চা খেয়ে যেতেই হবে। আর তো কিছু দেওয়ার নেই, বসুন -5 2ांदा अविद्धि -হ্যা, একটুখানি খেয়ে যান। দয়া করে। -আরও পাঁচ-ছ’টি খদের দোকানে এল গেল। সকলেই নিয়ে গেল। কলাই। শুধু কলাই, আর কিছু নয়। চা একটু পরে তৈরি হয়ে এল, একটা কঁাচের মাসে করে দোকানী ওকে চা দিলে। গঙ্গাচরণ লক্ষ্য করলে দোকানের মধ্যে তাকে, মেজেয় ওপর, নানা জায়গায় পেতল কঁাসার বাসন থরে থরে সাজানো । বেশীর ভাগ থালা আর বড় বড় জামবাটি। গঙ্গাচরণ ব্যাপারটা বুঝতে পারলে না, এরা কি কাসারি । বাসন বিক্রির জন্তে কেন এত ?