পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দোকানী আবার তামাক সাজলে। গঙ্গাচরণের মনের কথা বুঝতে পেরে বললে-ও বাসন অতি দেখচোন, ওসব বাধা দিয়ে গিয়েচে লোকে । এ গায়ে বেশীর ভাগ দুলে বাগদি আর মালো জাতের বাস। নগদ পয়সা দিতি পারে। না, ওই সব বাসন বাধা দিয়ে তার বদলে কলাই নিয়ে যায়। -সবাই কলাই খায় ? --তা ছাড়া কি মিলবে ঠাকুরমশায়। ওই খাচ্চে -আমি দাম দেবো, সত্যি কথা বলে । নগদ দাম দেবো। --না, ঠাকুরমশায়। হাত জোড় করে বলচি ও অনুরোধ করবেন না। --তোমরা কি খাও বাড়ীতে ? -মিথ্যে কথা বলবো না, ভাত চার আনা, কলাই বারো আনা । ডাটা শাক দু’টো করেলাম বাড়ীতে, তা সে রাখবার উপায় নেই। দিনমানেই ক্ষেতে লোকজন মেয়েছেলে, খোকাখুকীরা ঢুকে গোছা গোছা উপড়ে নিয়ে যাচ্চে । সাবাড়ি করে দিয়েচে সব । কিছু রেখে খাবার যো নেই । চালকুমড়ো ফলেছিল গোটাকতক এই দোকানের চালে, কে তুলে নিয়ে গিয়েচে । গঙ্গাচরণ তামাক খাওয়া সেরে ওঠবার যোগাড় কবলে । দোকানী বললেঠাকুরমশায়, কলাই নেবেন ? -7 8 | --নিয়ে যান সেরখানেক । এর দাম আপনাকে দিতে হবে না । আর একটা জিনিস-দাড়ান, গোটকতক পেয়ারা দিই নিয়ে যান, আমার গাছের ভালো পেয়ার-তাও আর কিছু নেই, সব পেড়ে নিয়ে গেল ওরা । আমি ডাসা দেখে দশ-বারোটা জোর করে কেড়ে নিয়ে রেখেছিলাম। গঙ্গাচরণ বাড়ী পৌছে দেখলে অনঙ্গ-বৌ চুপ করে শুয়ে আছে। এমন সময়ে সে কখনো তয়ে থাকে না । গঙ্গাচরণ জিজ্ঞেস করলে-“শুয়ে কেন ? শরীর ভালো তো ? দেখি অনঙ্গ-বেী যন্ত্রণাকাতর স্বরে বললে-কাউকে ডাকো । -ডাকবো ? --কাপালীদের বড়-বেীকে ডাকো চট করে। শরীর বড খারাপ। S