পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোগীর কথাবার্তা। অনাহারে শীর্ণ, দুর্বল হয়ে পড়েচে, কতকাল ধরে পেট পুরে খেতে পেতো না, কাউকে কিছু মুখ ফুটে বলা ওর স্বভাব নয়, কত সময় নিজের বাড়া ভাত অপরকে খেতে দিয়েচে । শরীর সে সবের প্রতিশোধ নিচে এখন । গঙ্গাচরণ সস্নেহে বললে—তুমি ভাল হয়ে ওঠে। তোমাকে জোড়া সন্দেশ এনে খাওয়াবো। টাউন থেকে । হরি ময়রা যা সন্দেশ কবেচে ! দেখলে খেতে ইচ্ছে করে । “ অনঙ্গ-বেী আঁতুড় থেকে বেরিয়েচে, কিন্তু বড় দুর্বল, শীর্ণদেহ। খেতেই পায় না তা সাববে কোথা থেকে । গঙ্গাচরণ প্ৰাণপণে চেষ্টা করে খাবারেব এটা সেটা যোগাড় করতে, কিন্তু পেরে ওঠে না। একটু ঘি কত কষ্টে গঙ্গানন্দপুরের শশী ঘোষের বাড়ী থেকে যোগাড করে নিয়ে এল । তাও ঘোষমশায় আট টাকা সেরের কমে ছাডতে চায় না । ব্ৰাহ্মণত্বেব দোহাই দিয়ে অনেক করে ঘিটুকু যোগাড় করা। ঘি যদি বা মেলে দূর গ্রামে, নিজ গ্রামে না মেলে একটু দুধ, না একটু মাছ। অনঙ্গ-বেী বললে-ওগো, তুমি টো টো করে আমন বেড়িও না। তোমার চেহারাটা খারাপ হয়ে গিয়েচে । আয়নায় মুখখানা একবার দেখো Cー5料ー গঙ্গাচরণ বললে-দেখা আমার আছে। তুমি ঠাণ্ডা হও তো । -চাল পেয়েছিলে ? -অল্প যোগাড় করেছিলাম কাল । --তোমরা খেয়েচ ? --ནོ་ | অনঙ্গ-বেী আঁতুড় থেকে বেরুলেও নড়তে চড়তে পারে না-শুয়েই থাকে। রান্না করে গঙ্গাচরণ ও হাবু। পাঠশালা আজকাল সবদিন হয় না। বিশ্বাস মশায় এখান থেকে সরে যাওয়াতে পাঠশালার অবস্থা ভালো নয়। এ দুদিনে আকস্মিক বিপৎপাতের মত দীনু ভট্টচায একদিন এসে হাজির। গঙ্গাচরণ পাঠশালাতে ছেলে পড়াচে । -এই যে পণ্ডিত মশায় ! δ. Ο θ