পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে করলে কি মশাই দাৰ্জিলিং গেল - বেড়াতে। সেখান থেকে এসে উন্মাদ °क्ष श्रश्न ८ीब्ल -কেন কেন ? --তা কি করে জানবো মশাই। কোথাকার নাকি ফটোগোরাপ তুলতে গিয়েছিল, সায়েবে কি খাইয়ে দেয়-এই তো শুনতে পাই। মশাই, তুমি পাণ্ড পাঁচ টাকা মাইনে, তোমার সেই দাৰ্জিলিং - দাজিলিং-এ যাওয়ার কি দরকার ? সেখানে সায়েব-সুবোদের জায়গা । বাঙালীরা সেখানে গেলে পাগল করে দেয় ওষুধ খাইয়ে। সাধে কি আর বলে -সে যাক, আসল কথাটা কি সংক্ষেপে বলুন --তারপর সে ছোকরা আজ তিন মাস পরে এসে জুটেচে। এখন আর পাির্গ নেই, সেরে গিয়েচে! তাকে নেবে বলে আমায় বললে—আপনি এক মাস ছুটির দরখাস্ত করুন --আপনি করে দিলেন ? - দিতে হলো । হেড মাস্টার নিজে আমার টেবিলে এসে বলে—লিখুন। দরখাস্ত। লিখলাম। কি আর করি। তখুনে মঞ্জুর করে দিলে। এখন দেখুন বিপদ।। ঘরে নেই চাল, তার উপর নেই চাকরি । কি আমি এখন করি। বাড়ীসুদ্ধ যে না খেয়ে মরে । তাই ভাবলাম যাই আপনার কাছে । একটা পরামর্শ দ্যান । আর তো কেউ নেই যে তাকে দুঃখের কথা বলি । গঙ্গাচরণ মনে মনে বললে-দুঃখের কথা একবার ছেড়ে একশো বার বলে। কিন্তু বাড়ী যেতে চাও যদি, তবেই তো আসল মুশকিল । দীর্ম ভট্টচাষের মতলবখানা যে কি, তা গঙ্গাচরণ ধরতে না পেরে সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে ওর মুখের দিকে চেয়ে রইল। ছেলে দু’টির চাল জোটানো যাচ্চে না বউটাঙ্ক জন্যে কত কেঁদোককিয়ে এক সের আট নিয়ে আসা, সেই সময় গীচু ভীটুচাষ যদি গিয়ে ঘাড়ে চাপে, তবে চোখে অন্ধকার দেখতে হবে যে দেখচি ৷ স্ত্রীও এমন নির্বোধি, যদি ও গিয়ে হাজির হয়। আর কাদুনি গায় তার সামনে, তবে আর দেখতে হবে না। মুখের ভাত বেড়ে দেবে। নিজে না খেয়ে ঐ बूद्धांटिक थsप्राप्द । নাঃ, কি বিপদেই সে পড়েচে । এখন মতলবখানা কি বুড়োর ? বসে বসে গঙ্গাচরণ আকাশপাতাল ভাবত লাগলো। Y)YV)