পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি ছুটির পরে দীনু ভট্টচার্য তার সঙ্গে তার বাড়ী যেতেই চায়। তবে ? না, ও চলবে না । একটা কিছু ফন্দি বার না করলেই চলবে না। এমন কিসের খাতির দীনু ভট্টচায্যের সঙ্গে যে নিজের স্ত্রী-পুত্রের মুখ বঞ্চিত করে ওকে খেতে দিতে হবে ? দীনু ভট্টচায বলে-চুটি দেবেন। কখন ? -ছুটি ? এখনও অনেক দেরি । -সকাল বিকেল করেন, না এক বেলাই ? | 1ھ}>) مککے গঙ্গাচরণ তামাক সেজে খাওয়ালে নিজের হাতে দীনুকে । দীনু তামাক খেয়ে একমুখ ধোয়া ছেড়ে হুকোটি গঙ্গাচরণের হাতে দিয়ে বললে-এখন বড় যে বিপদে পড়ে গেলাম। চাকরি নেই, হাতে একটা পয়সা নেই-আপনার কাছে বলতে কি, আজি দু'দিন সপরিবারে না খেয়ে খিদের জালায় ছুটে এলাম, বলি কোথায় যাই ? আর তো কেউ নেই কোথাও ? মা-ঠাকরুন দয়া করেন, মা আমার, অন্নপুন্নো আমার । তাই এর অর্থ সুস্পষ্ট । দীৰু ভটুচায বাড়ীই যাবে। সে জন্যেই এখনো ওঠে নি, বসে বসে তামাক খাচ্চে। দু’দিন খায় নি, সে যখনই আসে, তখনই বলে দু’দিন খাই নি, তিনদিন খাই নি। কে মশায় তোমাকে রোজ রোজ খাওয়ায়আর এই দুর্দিনে ? লোকের তো একটা বিবেচনা থাকা উচিত। কি মতলব ফাদা যায় ? বলা যাবে কি ও বাপের বাড়ী গিয়েছে ? কিংবা ওর বডড অসুখ ? উহু, তাহলে ও আপদটা সেখানে দেখতে পারে। গঙ্গাচরণ আকাশপাতাল ভেবে কিছুই পেলে না। দুটির সময় এল। পাঠশালার ছুটি দিয়ে গঙ্গাচরণ যেমন বাড়ীর দিকে চলবে, ও অমনি চলবে গঙ্গাচরণের সঙ্গে ।... সোজাসুজি কথা বললে কেমন হয় ? না মশাই, এবার আর সুবিধে হবে না। অামার ওখানে। বাড়ীতে অসুখ, তার ওপর চালের টানাটানি । কিন্তু পরবর্তী সংবাদের জন্যে গঙ্গাচরণ প্ৰস্তুত ছিল না । বেলা যত যায়, দীনু ভট্টচাষ মাঝে মাঝে পাঠশালা থেকে নামে আর “রাপ্তার ওপর গিয়ে দাড়িয়ে সেখহাট-মণিরামপুরের বিলের দিকে চেয়ে চেয়ে কি Gra CO2 দু’তিনবার এ রকম করবার পরে গঙ্গাচরণ কৌতুহলের সুরে বললেকি দেখচোন ? $ 8 ዓ f (