পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-এত দেরী হচ্চে কেন, তাই দেখাচি । , -কাদের দেরি হচ্চে ? কারা ? -ওই যে বললাম। বাড়ীর সবাই আসচে। কিনা । আমার স্ত্রী, মেয়েটা, আর দু'টি ছেলে। সব না খেয়ে আছে যে। আর কোনো ऐ8°ांश cऊ দ্ব্যাখলাম না। বলি, চলে আমার অন্নপুন্নো মার কাছে। না খেয়ে ষোলসতেরো বছরের মেয়েটা বডড কাতর হয়ে পড়েচে । দিশেহারা মত হয়ে গিয়েচে মশাই। তা আমি দুটাে কলাইসেদ্ধ খেলাম মণিরামপুরের নিধু চকত্তির বাড়ী এসে। তাদেরও সেই অবস্থা। গোয়ালার বামুন, এ দুর্দিনে কোনো কাজকর্ম নেই, পায় কোথায় বলুন। চাল একদানা নেই তাদের ঘরে। নিধু চকত্তির বুড়ো মা বুঝি জ্বরে ভুগছে আজ দু’মাস। ওই ঘুসফুসে জ্বর। তারই জন্যে দু’টো পুরনো চাল যোগাড় করা আছে। তিনি খান। ওরা খেতে বসেচে। সিদ্ধকালাই। সব সমান অবস্থা । আমি বলি আমি এগিয়ে গিয়ে বসি পণ্ডিত মশায়ের পাঠশালায়, তোমরা এসে । সর্বনাশের মাথায় পা ! দীনু ভট্টচায গুষ্টিসমেত এ দুদিনে তারই বাড়ী এসে জুটচে তা হলে ! মতলব করেচে দেখচি ভালোই। હાશન હેન ? সোজাসুজি বলাই ভালো। না কি ? এমন সময়ে রাস্তা থেকে বালিকা-কণ্ঠে শোনা গেল-ও বাবা -কে রে ময়না ? বলেই দীনু বাইরে চলে গেল । গঙ্গাচরণ বাইরের দিকে চেয়ে দেখলে একটি ষোল-সতেরো বছরের মেয়ে, পাঠশালার সামনে পথের ওপর দাড়িয়ে আছে। মেয়েটিকে নিয়ে অল্প একটু পরেই দীনু পাঠশালায় ঢুকে বললে-এই আমার মেয়ে ময়না, ভালো নাম হৈমবতী ৷ প্ৰণাম করো মা কি বিষম মুশকিল। হৈমবতী এগিয়ে এসে প্ৰণাম করলে সলজভাবে । বেশ সুন্দরী মেয়ে । ওই রোগ পটকা, দড়ির মত চেহারা দীনু ভট্টচায্যের এমন সুন্দর মেয়ে! দীনু ভট্টচাষ বললে-ওরা সব কৈ ? হৈমবতী বললে-ওই যে বাবা গাছতলায় বসে আছে মা আর খোকাৱা । আমি ওদের কাছে যাই বাবা। বোচক নিয়ে মা হাটতে পারচো না। yr