পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গাচরণের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েচে । এদের তাড়ানো আর তত সহজ নয়। এরা বেঁচেকা-বুচকি নিয়ে আহারের সন্ধানে দেশত্যাগ করে যখন রওনাই হয়েচে । বিশেষ করে মেয়েটিকে দেখে গঙ্গাচরণের মন নরম হয়েচে । অমন সুন্দরী মেয়ের অদৃষ্ট কি দুঃখ । খেতে পায় নি। আজ দু'দিন। আহা ! স্নেহে গঙ্গাচরণের মন ভরে উঠলো । একটু পরে পাঠশালার ছুটি দিয়ে গঙ্গাচরণ সদলবলে বাড়ীর দিকে রওনা হলো । এরপর দিনকতক কেটে গেল। গঙ্গাচরণের বাড়ীতে দীনু ভট্টচাষের পরিবারবর্গ পাকাপোক্তভাবে বসেচে। অনঙ্গ-বেী নিজে খেতে না পেয়ে চি চি কৱচে অথচ সে কাউকে বাড়ী থেকে তাড়াবে না। ফলে, সবাই মিলে উপোস করাচে । এর মধ্যে ময়না বড় ভাল মেয়ে, গঙ্গাচরণ ক্রমে লক্ষ্য করলে। কোন খাবার জিনিস যোগাড় হলে ময়না আগে নিয়ে আসে। অনঙ্গ-বেীকে খাওয়াতে। বলে ও কাকীমা, একটু খেয়ে নাও তো ! ময়নার মা আবার কড়া সমালোচক। সে বলে-যা, ও তোর কাকীমাকে দিতে হবে না। ওর শরীর খারাপ, ও তোমার ওই ময়দায় গোলা এখন খেতে दश्क। शां, ९ निtश य দীনু ভটুচায কোথায় সকালে উঠে চলে যায়। অনেক বেলা করে বাড়ী ফেরে। কিছু না কিছু খাবার জিনিস প্রায়ই আনে। চাল আনতে পারে না।” বটে। কিন্তু আনে হয়তো একটা নারকেল, একটা মানকচু, দু'টাে বিরি কলাই, নিদেন দু’টো বড়ি। এসব আনে। সে ভিক্ষে করে । আজকাল দীনু ভিক্ষে করতে শুরু করেচে। তবে তার ভিক্ষেটা ঠিক আর পাঁচজন ভিক্ষুকের মত নয়, ওরই মধ্যে একটু কায়দা আছে। সেদিন দুপুরে দীনু গিয়ে হাজির এ গ্রামেরই কােপালীপাড়ায়। নিধু কােপালীর বাড়ীর দাওয়ায় উঠে বললে—একটু তামাক খাওয়াতে পাৱ ? নিধু কাপালী ব্ৰাহ্মণ দেখে শশব্যস্ত হয়ে ৰললে-আঙ্গুন, বসুন, ঠাকুরের cकीर्थक चांना शक्र? -আমাৱ বাড়ী কামদেবপুর, আমি আছি। এই গঙ্গাচরণবাবুর বাড়ী। N. S đề