পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--আপনার কেউ হন ? জামাই নাকি..? --না না, আমার স্বজাতি ব্ৰাহ্মণ । এমনি এসে আছি। ওর ওখানে । --আপনার কি করা হয় ? --কিছুই না। বাড়ীতে জমিজমা আছে। দু’টো গোলা ছিল ধান ভর্তি, তা শোনলাম ধান রাখতে দেবে না। গবর্নমেণ্টের লোক । বিশ মণ ধানের বেশী নাকি রাখতে দেবে না-সব বিক্রি করে ফেললাম। বলা বাহুল্য। এসব কথা সর্বৈব মিথ্যা । নিধুৱ কিন্তু খুব শ্রদ্ধা হয়ে যায়, দু’গোলা ধানেব মালিক যে ছিল এ বাজারে, সে সাধারণ লোক নয়, হতেই পারে না । আঠার টাকা করে ধানের মণ । দু’গোলায় অন্তত সাত-আট শো মণ ধান ছিল। মোটা টাকা রয়েছে ওর হাতে। দীনু তামাক টানতে টানতে বলে-বাপু হে, ঘরে চিড়ে আছে, দু’টো দিতে পাৱ ? এ গায়ে তোমাদের দেখচি খাদ্য-খাদকের বড় অভাব । --আজ্ঞে, এখানে খাদ্যখাদক মেলেই না-চিড়ে ঘরে নেই। ঠাকুরমশায়। বড় লজায় ফেললেন --না না, লজ্জা কি ? তোমাদের এ গ্রামে বাপু এই রকমই কাণ্ড । খাস্থ্যখাদক কিছু মেলে না । ক’দিন থেকে ভাবছি দু’টো চিড়ে ভাজা খাব। তা এ যোগাড় করতেই পারলাম না-অথচ আমার গোলায় এক পৌটি দেড় পৌটি ধান ছিল এই সেদিন। নিধু কােপালী কঁচুমাচু হয়ে গেল। এত বড় লোকের সামনে কি লজ্জাতেই সে পড়ে গেল । দীনু বললে-যাক গে। আমসত্ত্ব আছে ঘরে ? ? -আজ্ঞে না, তাও নেই। ছেলেপিলেরা সব খেয়ে ফেলে দিয়েচে । -পুরনো তেঁতুল ? -vices a -বড় অরুচি হয়ে গেছে মুখে কিনা। তাই দু'টো চিড়ে ভাজা, পুরনো তেঁতুল একটু এই সব মুখে-বুঝলে না ? আরো মশায়, লড়াই বেধেচে বলে মুখ তো মানবে না ? এই চালকুমড়ে তোমার ? সামনে গোলার ওপরে চালকুমড়ো লতায় বড় বড় চালকুমড়ো সাদা হয়ে গিয়েচে পেকে। সারি সারি অনেকগুলো আড়া হয়ে আছে গোলার চালে নিধু কাপালী বিনীতভাবে বললে--আজে, আমারই। Te