পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनष्क्र-८ो ब्रांटा बगळ-कि श्ला ? গঙ্গাচরণ হেসে বললে-কি আর হবে। সে পালিয়েচে সেই যদু-পোড়ার সঙ্গে-সেই ঠিকাদার ব্যাটা, ভয়ানক ধড়িবাজ । -ওমা, সে কি সব্বোনাশ! হ্যাগ কি হবে ওর ? ছুটুকির ? -ওকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেবে শখ মিটে গেলে । তখন নাম লেখাতে হবে শহরে গিয়ে, নয়ত ভিক্ষে করতে হবে । চতুর্থ দিন অনেক রাত্রে কে এসে ডাকলে ঘরের বাইরে থেকে-ও বামুন-দিদিময়না জেগে উঠে বললে-কে ডাকচে বাইরে, ও দিদি বলেসে উঠে দোর খুলে দিতে ছোট-বেী ঘরে ঢুকল। পরনে নতুন কোৱা লালপোডে শাড়ী, গায়ে শাদা ব্লাউজ, হাতে নতুন কঁাচের চুডি। অনঙ্গ-বেী বিস্ময়ের ও আনন্দের সুরে বললে—কি রে ছোট-বেী ? ছোট-বেী মেঝের ওপর বসে পড়ল। একটুখানি চুপ করে থেকে ফিক্ কবে হেসে ফেলল। ময়নার মাও ততক্ষণে উঠেচে। ছোট-বৌয়ের কাণ্ড সব শুনেচে এ ক’দিনে। ময়নার মা ছিল কামদেবপুর গায়ের মধ্যে সকলের চেয়ে নিরীহ মেয়েমানুষ। কখনো কারো কথায় থাকে না, গরীব-ঘরের বেী-দুঃখধান্দার মধ্যেই চিরকাল ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলো মানুষ করে এসেচে। সে শুধু চুপ করে ওর দিকে চেয়ে রইল। এমন অবস্থায় আবার লোকের মুখে হাসি বেরোয় ? ময়নার মা এই কথাই ভাবছিল । অনঙ্গ-বেী রাগের সুরে বললে-হাসি কিসের ? ছোট বেী মুখ চুন করে বললে-এমনি । -ও পুটুলি কিসের ? -ওতে চাল । তোমার জন্যি এনিচি । - কাটা মারি তোর চালের মাথায় । নিয়ে যা এখান থেকে । আমি কি করব তোর চাল ? --রাগ কোর না বামুন-দিদি, পায়ে পড়ি । তুমি রাগ কল্লি আমি কনে যাব ? এবার ছোট-বৌয়ের চোখ দু’টাে যেন জলে ভরে এল। সত্যিকার চোখের छक् । অনঙ্গ-বৌয়ের মনটা নরম হলো। খানিকটা স্নেহের সুরে বললে R v