পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোট-বেী আর ময়নার মুখে সব শুনে অনঙ্গ-বেী হাউ হাউ করে কান্দতে লাগলো । গ্রামে থাকা খুবই মুশকিল হয়ে পড়লো মতি মুচিনীৰ মৃত্যুর পরে। অনাহারে মৃত্যু এই প্ৰথম, এর আগে কেউ জানত না বা বিশ্বাসও করেনি যে অনাহারে আবার মানুষ মরতে পারে। এত ফল থাকতে গাছে গাছে, নদীর জলে এত মাছ থাকতে, বিশেষ করে এত লোক যেখানে বাস করে গ্রামে ও পাশের গ্ৰামে, তখন মানুষ কখনো না খেয়ে মরে ? কেউ না কেউ খেতে দেবেই। না খেয়ে সত্যিই কেউ মরবে না । কিন্তু মতি মুচিনীর ব্যাপারে সকলেই বুঝলে না খেয়ে মানুষে তাহলে তো DBB KBDSS DD DD BDSDDBDDB LLLB BBBDBDS DK SDS DBBBB গণ্ডির মধ্যে এসে পৌছে গেল। কই, এই যে একটা লোক মাবা গেল না। খেয়ে, কেউ তো তাকে খেতে দিলে না ? কেউ তো তাকে মৃত্যুব হাত থেকে বঁাচাতে পারলে না ? সকলের মনেই একটা বিষম আশঙ্কাব সৃষ্টি হলো । সবাই তো তা হলে না খেয়ে মরতে পারে। দীনু ভট্টচাষ সেদিন দাওয়ায় বসে মতি মুচিনীর মৃত্যুদৃশ্য দেখলে। মনে মনে ভাবলে, এবার আমব এতগুলো ছেলেমেয়েকে খেতে দেবে কে ? এদের ঘরে তো খাবাব নেই, কোনোদিন এক খুচি কলাইয়েব ডাল, কোনোদিন বা একটা কুমডো, তাই সবাই মিলে ভাগ করে খাওয়া । দীনু ভট্টচাষ বুড়ো মানুষ, ওর তাতে পেট ভবে না । পেটে খিদে লেগেই আছে, খিদে কোনোদিন ভাঙে না। দিন দিন দুর্বল হয়ে পডেচে। এমনভাবে আর ক'দিন এখানে চলবে ? মতির মৃতদেহ আমতলাতেই পড়ে আছে। কত লোক দেখতে আসচে। দূর থেকে দেখে ভয়ে ভয়ে চলে যাচ্চে। আজ যা ওর হয়েচে, তা তো সকলেরই হতে পারে! ও যেন গ্রামের লোকের চোখ ফুটিয়ে দিয়ে গেল। একটি মুতিমান বিপদের সংকেত স্বরূপ ওর মৃতদেহটা পড়ে রয়েচে আমগাছটার তলায় । অনাহারে প্রথম মৃত্যুর অশনি-সংকেত । সীহু ভাচুর্চায বললে-তাই তো ভায়া, এখন কি করা যায় ? গঙ্গাচরণ সস্তুষ্ট ছিল না। ওর ওপর। একপাল ছেলেমেয়ে নিয়ে এসে ঘাডে বসে খাচ্চে এই বিপদের সময় । স্ত্রীর ভয়ে কিছু বলতেও পারা যায় না। SRr