পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ হতো, তা হলে আর ভাবনা ছিল না। ব্ৰাহ্মণ হলো সমাজের সব কাজের গুরুমশায় । কথায় বলে ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত । গঙ্গাচরণ মন দিয়ে ছেলে পড়ায় বটে। ঘুম থেকে উঠে সে ছেলেদের নিয়ে অনেকক্ষণ ব্যস্ত রইল-কাউকে নামতা পড়ায়, কাউকে ইংরেজী ফাস্ট বুক পড়ায় - ফাকিবাজ গুরুমশায় কেউ তাকে বলতে পারবে না । বেলা বেশ পড়ে গেলে সে ছাত্রদের ছুটি দিয়ে লাঠি নিয়ে বাইরে বেরুবার উদ্যোগ করতে অনঙ্গ এসে বললে-ওগো, কিছু খেয়ে যাবে না-আজি দু’বাড়ী থেকে দুধ দিয়েছিল, একটু ক্ষীর করেচি - বৈকালিক জলযোগ অনেকদিন অদৃষ্ট ঘটেনি। নানা অবস্থা বিপৰ্যয়ের মধ্যে আজ তিনটি বছর কাটাচে স্বামী-স্ত্রীর । সুতরাং স্ত্রীর কথা গঙ্গাচরণের কানে একটু নতুন শোনালো। স্ত্রীকে বললে-ছেলেদের দিয়েচ ? সে ভাবনা তো তোমার করতে হবে না, তুমি খেয়ে নাওখেতে খেতে পরম তৃপ্তির সঙ্গে সে স্ত্রীকে বললে-এখানে আছি ভালই, दि' ब्ल ? অনঙ্গ-বৌয়ের মুখে সমৰ্থনৰ্ম্মচক মৃদু হাসি দেখা দিল, সে কোনো উত্তর করলে না। লক্ষ্মীর রূপা যদি হয়ই, মুখে তা নিয়ে বড়াই করতে নেই। তাতে লক্ষ্মী রাগ করেন । গঙ্গাচরণ খানিকটা ক্ষীরসুদ্ধ বাটিটা স্ত্রীর হাতে দিয়ে বললে - এই নাও —ও কি ! ন-না-সবটা খেয়ে ফুেলーマ何 a;歪ー -আমার জন্যে আছে গো আছে, সে ভাবনা তোমার করতে হবে না--ত হোক। আর খাবো না । এবার বিশ্বেস মশায়ের বাড়ী যাই । পাকাপাকি ক’ৱে আসি । --বেশি দেরী কোরো না। এখানে নাকি বুনো শুওর বেরোয় সন্দের পর। আমার বড় ভয় করে বাপু - গঙ্গাচরণ ছায়া-ভরা বিকেলে মাঠের রাস্তা বেয়ে গন্তব্যস্থানে যেতে যেতে কল্পনাচক্ষে তার ভবিষ্যৎ গৃহস্থালীর ছবি আঁকিছিল। বেশ লাগে ভাবতে। এই সব মাঠে ভাল চাষের জমি পাওয়া যায়, যদি কিছু জমি তাড়াংগাড়ার বঁাডুয্যে ܘ