পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-কেন, কি হয়েছে। চাচা ? -খুটিগুলো সব পড়ে গিয়েছে। -ওবেলা এসে করে দেবানি চাচা । ইচু কথা ঠিক বাখত নিজের। যাকে যা বলবে, তা সে রাখবার জন্যে প্ৰাণপণে চেষ্টা করবে। এটা সকলেই জানে ; মহাজনে দু’তিন বিশ ধান মুখের কথায় ওকে দিয়ে দিত, এ পর্যন্ত সে কারও টাকা বা ধান মেরে দেয় নি । একবার পাশের গ্রামের মুখুজ্যেদের জমির ধান সে ভুল করে কেটে ফেলেছিল-বেশি নয়, কাঠাখানেক জমির পাকা ধান। মুখুজ্যেদের জমির পাশে তখন ওর নিজের ওটবন্দি জমি ছিল দু’বিদ্ৰে। মুখুজ্যে মশায় যখন জানতে পারলেন তাব জমির ধান কে কেটে নিয়েছে তখন খুব হৈ চৈ জুড়ে দিলেন । কে ধান কেটেছে সন্ধান কবিতে পারলেন না। কারণ সবারই তখন ধান কাটবার সময়, সকলেরই বাডিতে ধান-কার ধান তিনি গিয়ে ধরবেন ? দিনঃ দুই পরে ইচু গিয়ে সন্ধ্যাবেলা তার বাডি হাজির হল। মুখুজ্যে মশায় বললেন—কি বে। ইচু, কি মনে কবে ? ইচু বললে-সালাম বাবু। একটা বডড ভুল করে ফেলেছিা! —কি রে ? --আপনার জমির ধানড কাঠাখানেক কেটে ফেলে ঘবে নিয়ে গিয়ে তুলেলাম। তা বাবু, দেড় সুন্দ দিয়ে সেই ধানডা আপনারে ফেরত দিতি আলম। —ওঃ, তোব কাজ ইচু! আমি আকাশ-পাতাল হাতড়াচ্ছি। -আজ্ঞে হঁ্যা বাৰু। সেদিন বড বর্ষা, জমিব আল ঠিক করতি পারলাম না। তার পর পরস্পর শুনলাম আপনার জমির ধান কে চুরি করেছে বলে আপনি খোজ করছেন। তখন ভাবলাম বাবুরে বলে আসি। ক্ষতি লোকসান যখন অজান্তে করে ফেলেছি, তখন দেড় বাড়ি সুন্দ দেব আপনাৱে । মুখুজ্যে মশায় বিশ্বাস করলেন ওর কথা। ইচুকে অন্ততঃ চোর বলে কেউ সন্দেহ করবে না। ইচু জন খেটে খায় বটে, কিন্তু আশেপাশে চার পাঁচ গ্রামের লোক ওকে মনে মনে শ্রদ্ধা করে। মুখুজ্যে মশায় বললেন, তোকে সুন্দ দিতে হবে নাইচু, আমার ধান যা কেটেছিস ও আর ফিরিয়েও দিতে হবে না। ও তোকেঁ দিলাম। ভুলে করে ফেলেছিস তা আর এখন কি হবে। ইচু হাতজোড় করে বললোঁ-তা হবে না। মুখুজ্যে মশায়, ও ধান নিতি পারব না, মাপ করবেন। ও ধান আঁমার গলা দিয়ে নামবে না। আল্লা যা আমায় እYeዓ