পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবাক হয়ে গেলাম। ভায়া, যখন লোকটা ও কথা বললে। আজ যাকে পথেই অ্যারেস্ট করবে পুলিশে, কাল পুরবে হাজতে, যার সব যেতে বসেছে- সে যে ওই ধরনের রিকোয়েস্ট করতে পারে তা আমার মাথায় আসে নি। আমি আগে ভেবেছিলাম বুঝি কনফেস করবে। সামান্য একজন লোক-আমার 65ig२ अब ५०ीgन एल डiश्वों । ওরা সব চলে গেল। ইচু শেখকে ওরা বাজার থেকে পেট ভরে তেলে ভাজা সিঙাড়া কচুরি আর মুড়ি খাওয়ালে। হাফেজ বললে—‘ওরে চাডি হোটেলের ভাত খাইয়ে নিলি হত। পুলিশি ধরলি কোথায় নিয়ে যাবে, আজ খাওয়া হবে কি না ঠিক তো নেই। কিন্তু এত সকালে হোটেলে ভাত পাওয়া গেল না । বাস্তা চলতে লাগল সবাই। দুপুরের কিছু দেৱী আছে, ইচু পথেব পাশে এক বটতলার ছায়ায় নামাজ পড়তে বসল। আর কোন কথা ওর মনে থাকে না। ঝিরঝিরে হাওয়ায় আজ পথের ধারের গাছতলায় অপূর্ব আনন্দ ও শান্তি নেমে আসে প্ৰাণে নমাজের সময় । সে সব ভুলে যায়। চোখে যেন জল আসে। নিমি কত ভাত রোধে দিয়েছে।--কত আদর-যত্ন করেছে । তার চরিত্র খারাপ ছিল ? সে কিছু জানে না। নিমির জন্যে বুকের মধ্যে একটা বেদনা। নিমিকে সে খুন করবে ? কাউকে কখনও খুন করার কথা তার মনে আসে নি। আল্লা সাক্ষী আছেন সব কাজের । ভয় কি ? মালিক যা করবেন। তাই হবে। রাস্তায় ওকে পুলিশে ধরলে না। বেলা দুটোর সময় বাড়ী ফিরে ওরা দেখলে পুলিশ দফাদার অপেক্ষা করছে ওদের পাড়ার বড় মোড়লের বাড়ী। লোক গিজগিজ করছে। ডাকহঁক, সাক্ষীশ্বর জবানবন্দি হতে বিকেল হয়ে গেল। শাইলিপাড়া গ্রামের সবাই একবাক্যে দারোগার সামনে বললে, ইচুর দ্বারা এ খুন হয়েছে তারা কেউ বিশ্বাস করে না। জবানবন্দিতে আরও প্ৰকাশ পেল-ইচুর স্ত্রী নিমি প্রায়ই রাত্রে স্বামীকে ঘুম পাড়িয়েই বাড়ী থেকে বেরুত । গ্রামের মধ্যে তার প্রেমিকের অভাব ছিল না । প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও চলত। দারোগ ইচুকে সামনে ডাকিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করলেন। শেষে বললেন-তুমি কিছু জানতে না যে, তোমার স্ত্রীর চরিত্র খারাপ ? -না, দারোগাবাবু। কিছু জানি নে মুই। እ 8 ዓ