পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেটিকে দেখিয়া আবার সুলোচনাকে স্পষ্ট মনে পডিল। জিজ্ঞাসা করিয় জানিলাম, যাত্ৰাদলে কৃষ্ণ সাজে একটি, অপবটি গান গায় । হায় অভাগী সুলোচনা !• • • এখনকার কালের শৌখিন মেয়ে, তখনকাব কালের আধুনিক স্মার্ট মেয়ে সুলোচনাব মা ও ছেলেদোপ একি গৃহ, একি গৃহসজ্জা ? - ছেঁড চটেবি বিছানা, চটের মধ্যে বিচুলির কুচিপোরা বালিশ, ভাঙ্গা কলাইচণ্টা এক-আধখানা সানকি একটা মাটিৰ কলসী আব্ব দাডির আলনায় অতি মলিন খান দুই-তিন কাপড় ও জামী । একখানা কে শুন্ড। কাঠের হাও-দুষ্ট চওড়া তক্তপোশা আছে- ছেলে দুটি তাতে শোয়, বুড়ি শোথ মেঝেতে । তাও এই ঘরে আশ্রয় মিলি৩ে% কই ? এই আস্তাবল হইতে ও বাড়ীওয়ালা নাকি ইহাদে 1 তাডাইয দিবে। বলিতেছে । এই কাহিনীটি আর বেশীদূর অগ্রসর করিয়া লইয়া যাইবাব পূর্বে সুলো>• কে ছিল, তাহাব সহিত আমার কি ভাবে আলাপ-ইহা বলিব । নতুবা গল্পের অংশ ভয়ানক খাপছাড ঠেকিবে । ১৯০৬ সালে দেশের ইস্কল হইতে এস্ট্রান্স পাস কবিয কলিকাত ‘ কলেজে পড়িতে আসিয়াছি । কেঁচু চাটুজ্জে স্থাটে আমােবই স্বগ্রামস্থ এক বন্ধ বাবা হেলেপুলে লেইখা বাস৷ কবিয়া থাকিতেন, সেঈখানেই উঠিযাছি। আমি • বন্ধুটির দাদা তখন বি-এ পডেন এবং তাবষ্ট সঙ্গে দেখা কবিতে প্ৰকাশ৷৷১৭ বসু না। মে তাহারই এক বন্ধু বাসায় ঘন ঘন যাতায় ৩ করিতেন । এ* প্ৰকাশবাবু বড় অদ্ভুত লোক। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে মনেপ্ৰাণে যোগ দেওয়া ফলে পুলিশের হাতে গুরুতর। প্ৰহাৰ্প খাইয়া নাকি কিছুদিন হাসপাতালে। এও কিছুদিন জেলে ছিলেন। তিনি নিজে হাতে কাহার্কে ও বোমা মারিয়াছিলেন বলিয়া শুনি নাই-কিন্তু আলিপুর বোমার মামলার সময় পুলিশ দিনকতাৰ র্তাহার পিছু পিছু ঘুরিয়াছিল। খুব বলিষ্ঠ, দীর্ঘ চেহারা, মুখের ভাবে বুদ্ধিমত্ত: ও মননশীলতার ছাপ আতি সুস্পষ্ট । প্রেসিডেন্সি কলেজের বি-এ ক্লাসের ছাত্র, ছাত্র হিসেবেও যথেষ্ট মেধাৰী । আমরা প্ৰকাশ দাকে যথেষ্ট খাতির করিয়া চলিতাম । তিনি বাড়ীতে 为鳍之