পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুটি নাবালক ভাই-জমি-জমা যা ছিল এক জ্ঞাতি খুড়ো সব নিজের ব’লে লিখিয়ে নিলে জরিপের সময় -কে কোথায় ? -চিত্রাঙ্গপুর, ডাবতলীর কাছে। ডাবতলীর গরুর হাট ও দিগরে নামকরা । অতবড় গরুর হাট এ জেলায় নেই। -সেখান থেকে বুঝি এখানে এলেন ? -হ্যা, দেখলাম, ও গায়ে আর সুবিধে হবে না । মনে মনে বললাম, মন পৈতৃক ভিটের মায়া ছাড় । এখানে কি না খেয়ে মরবো ? আমি আর বিষ্ট সা। বিষ্ট সা আমার ছেলেবেলাকার বন্ধু। আমার সঙ্গে গা ছেড়ে যেতে রাজী হলো । তখন খুঁজতে বেরিয়ে পড়লাম দু’জনে । এ বলে ওখানে জমি সস্তা, ও বলে ওখানে জমি সস্তা । কিন্তু মশায় জমি পাওয়াই যায় না । সস্তা তো কোথাও দেখলাম না । পঞ্চাশ টাকার কমে কোথাও জমি নেই -ধানের জমিবিশ্বাস মশায়ের অন্দরমহলে এই সময় শাকে ফু পড়লো, গঙ্গাচরণ ব্যস্তসমস্ত হয়ে উঠে বললে-ওঃ, সন্দে হয়ে গেল-আমি এবার যাই-এবার সন্দো-আহিক করতে হবে। কিনা ? আসল কথা, স্ত্রীর বুনো শুওর সংক্রান্ত সতর্কবাণী তার মনে পড়েচে। নতুন গায়ের আশেপাশে এখনও যথেষ্ট বনজঙ্গল, অন্ধকারে চলাফেরা না করাই ভালো । সাবধানের মারি নেই। বিশ্বাস মশায় বললেন-ত বিলক্ষণ ! এখানে আমরা এই বাহিরের ঘরেহ BBDSDBDBB BB BBSBD DD KDBDD DBDD DBDLSS DBBD DBBDL কােপালী বটে, কিন্তু আমাদের বাড়ীর মেয়েরা স্নান না ক’রে মুখে জলটুকু দেয় না-সব মাজাঘষা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ব্ৰাহ্মণের সন্দো-আহ্নিক হলে এ বাড়ীতে, বাড়ী আমার পবিত্র হয়ে যাবে। তারপর একটু জল মুখে দিন -না না, সে-সবে এখন আর দরকার নেই-যখন এখানে আছি, তখন সবই হবে-উঠি এখন-গঙ্গাচরণ খুব ব্যস্ত হয়ে উঠলো। বিশ্বাস মশায় বললেন-আমার গল্পটা শুনে যান। তারপর তো-আচ্ছা ও আর একদিন শুনবো এখন ৷ সন্দো-আহিকের সময় হয়ে গেলে আমার আর কোনোদিকে মন থাকে না । ব্ৰাহ্মণের ছেলে, সংস্কৃত পড়িচি-নিত্যকর্মগুলো তো ছাড়তে পারবো না SS